পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পুত্তলিকা।
৩৫

করিলেন। যােগী তাহাকে দেখিয়া অভ্যর্থনা করিয়া কহিল মহারাজ দণ্ডবৎ হইয়া দেবীকে প্রণাম করুন। ভূপতি কহিলেন আমি রাজা, কখন কাহাকে দণ্ডবৎ হইয়া প্রণাম করি নাই, অতএব কি প্রকারে দণ্ডবৎ প্রণাম করিতে হয় আমাকে দেখাইয়া দাও। যােগী তাহা দেখাইবার জন্য সাষ্টাঙ্গে ভূমিষ্ঠ হইল। রাজা ঐ সময়ে যক্ষের উপদেশানুসারে খঙ্গ নিষ্কোষিত করিয়া তাহার শিরচ্ছেদন করিলেন। পরে বৃক্ষ হইতে তৈলকারের শব আনয়ন পূর্ব্বক ঐ শব ও যােগীর শব এই উভয়কে উত্তপ্ত-তৈলকটাহে নিক্ষেপ করিলেন। তাহা দেখিয়া দেবী কহিলেন বিক্রমাদিত্য তােমার সাহস ধন্য, এবং তুমি যে মাতা পিতার ঔরসে জন্ম গ্রহণ করিয়াছ তাহারাও ধন্য, আমি তােমার প্রতি প্রসন্ন হইলাম তুমি বর প্রার্থনা কর।

 দেবী এই কথা বলিলে পর, তাল ও বেতাল নামে দুই মহাবীর উপস্থিত হইয়া রাজাকে কহিল মহারাজ আমরা আপনকার সেবার্থ আসিয়াছি, আমরা সৰ্বত্রগামী, জল স্থল আকাশ পাতালে বায়ুবেগে গমন করিতে পারি, অতএব যে মনস্কামনা থাকে বলুন, আমরা তাহা পূর্ণ করি। রাজা বলিলেন সম্প্রতি আমার কোন কামনা নাই, যদি তােমরা অঙ্গীকার কর এবং সেই অঙ্গীকার পালন কর, তবে আমি মহাদেবীর নিকট হইতে তােমাদিগকে চাহিয়া লই। তাল বেতাল কহিল যে আজ্ঞা মহারাজ। পরে রাজা দেবীর নিকট এই প্রার্থনা