( S ) উভয় প্রকার বন্ধক সিদ্ধ হয় নচেৎ সিদ্ধ হয় ন” । । আর এমত বিধিও আছে যাহার মধ্যে কতকগুলীন উপরোক্ত বিধি সকলের কিঞ্চিৎ ও কতকগুলীন সম্পূর্ণ বিপরীত, যদি ও ঐ সকল বিধি অল্প সংখ্যক বটে এবং মাতবরীতে নু্যন হইতে পারে, যথা “যে ব্যক্তি কোন বন্ধকী বিষয়ে ভোগবান কি দখলীকার নহে অথব। প্রমাণ বুনিয়াদে তৎপ্রতি দাবি না করে তাহার পক্ষে সেই বন্ধক বাবতে ষে চুক্তি পত্র লিখিত হইয়াছে তাহ বাতিল অর্থাৎ খাতক ও সক্ষিগণের মৃত্যু হইলে খত যেমন বাতিল হয় উক্ত চুক্তি পত্রও সেই রূপ বাতিল হইবে” । “যদি ভোগ দখল ন থাকে কিন্তু রীতিমত তসদিক ইত্যাদি করা কোন লিখিত দলীল থাকে তবে সেই লিখিত দলীল বলবৎ থাকিবে কারণ লিখিত দলীল কোন বিষয়ের অতি বিশিষ্ট প্রমাণ হইতেছে ত্রবং তদ্বারা বন্ধক সাব্যস্ত হইবে” । । ত্রতদ্বার। সপষ্ট প্রকাশ যে আদি বিধির অনেক সংশোধন হইয়াছিল এবং প্রথমে ষে প্রকার হইয়া থাকুক তৎপরে বিন। দখলে বন্ধুক সিদ্ধ হওয়া হিন্দুশাস্ত্রে অজানিত ছিল না । ১০ । আমরা হিন্দুদিগের শাস্ত্র ও মুসলমানদিগের শরণ এদেশে যেরূপ প্রচলিত দেখিয়াছিলাম সে তাবস্থাষ ঐ শাস্ত্র কি শারামতে দখল থাকণ যে আবশ্যক নহে এই সিদ্ধান্ত পক্ষে এক প্রবল হেতুবাদ এই বিষয় হইতে পাওয়া যাইতে পারে যে বন্ধক বিষয়ে ইংরাজ বাহাদুর যে সকল আইন করিয়াছেন সে তাব তই এই বুনিয়াদে হইয়াছে যে বন্ধকের সহিত দখল দেওয়া হউক বা না হউক ঐ উভয় প্রকার বন্ধক সমভাবে সিদ্ধ ; কোম্পানি বাহাদুর প্রথমে যে সকল আইন করেন তাহতে কোন মৃতন আইনের বিধি এতদ্দেশে প্রচলিত কর। তাহাদিগের অভিপ্রায় ছিল না বরং যে সকল বিধি প্রচলিত ছিল তাহ আমলে আনিবার নিমিত্ত্বে চলিত রীতি অপেক্ষ উত্তম রীতি সংস্থাপন ও প্রকাশ করাই উাহাদিগে অভিপ্রান ছিল অতএব এরূপ অনুভব করা যাইতে পারে যে তখন যে সকল আইন সংস্থাপিত হয় তাহা মূল বিধি সম্বন্ধে তৎকালের প্রচলিত আইনের সংগ্ৰহ মাত্র । আর যেস্থলে সেই সকল আইনে এমত কিছুই লেখে ন। যে বন্ধক গ্রহীতাকে দখল দেওয়া আবশ্যক সেস্থলে ন্যায়মতে এরূপ সিদ্ধান্ত করা যাইতে পারে যে এদেশের প্রচলিত আইনমতে হিন্দু কি মুসলমানদিগের মধ্যে এরূপ কোন আবশ্যকতা ছিল না। ’ 龜 fo •কোলব্রুক সাহেবের কৃত সারসংগ্ৰহনামক গ্রন্থের ১ম বালমের ২০৫ পৃষ্ঠা ব্যাস। + લે ঐ ২০৫ পৃষ্ঠ বৃহস্পতি । t લે ঐ ২১৫ হলায়ূধ ।
