পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম অধ্যায়-চড়চড়ী।
৮৭

তবে তাহা আমিষ চড়চড়ীতে যেমন খাটিবে নিরামিষে তেমন খাটিবে না। সিদ্ধ হইলে একটু চিনি দিতে পার। শুকাইলে কাঁচা লঙ্কা বাটা ও সরিষা বাটা (একত্রে বাটিয়া লইতে পার।) মিশাও। বেশ শুক্না শুক্না করিয়া নামাও। প্রকাশ থাকে যে চড়চড়ীতে যেটুকু জল দিলে আনাজ সিদ্ধ হইবে মাত্র সেইটুকু জল দিবে। অতিরিক্ত জল দিলে আনাজ অধিক নরম হইয়া যাইয়া চড়চড়ী কেঁৎকেঁতে হইবে—চড়চড়ে হইবে না। পাকা বিলাতী কুমড়া মিশ দেওয়া থাকিলে চড়চড়ীর স্বাদ উত্তম হয়।

৯৭। পাঁচ মিশালী মিহি চড়চড়ী

 বিলাতী কুমড়া, আলু, পটোল, বেগুনাদির খোসা, বোঁটা প্রভৃতি যাহা ফেলা যায়, তদ্দ্বারা এই চড়চড়ী রাঁধা হয়। এই গুলি মিহি করিয়া কুটিয়া লইতে হয় বলিয়া এই চড়চড়ী দেখিতে ঘণ্টের মত হয়।

 আলুর খোসা, কাঁচা বিলাতী কুমড়ার খোসা, পাকা বিলাতী কুমড়া, বেগুনের বোঁটা, পটোল, মোচার ভিতরের থোড় প্রভৃতি লইয়া মিহি করিয়া বানাইয়া লও। সব পৃথক ভাবে কষাও। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, কালজিরা, মেথি ফোড়ন দিয়া সমস্ত কষান আনাজ ছাড়। কিছু আংসাইয়া নুন, হলুদ ও লঙ্কা বাটা জলে গুলিয়া ঢালিয়া দাও। সিদ্ধ হইলে চিনি দাও। শুকাইলে কাঁচা লঙ্কা বাটা ও সরিষা বাটা দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও।

 দ্রষ্টব্য—এই চড়চড়ীতে মেথির পরিবর্তে জিরা ফোড়ন ও পরিশেষে জিরা গোলমরিচের বাটা ঝাল ও মিশাইয়া ‘ঝাল-চড়চড়ী’ রূপে রাঁধিতে পার।

৯৮। বিলাতী কুমড়ার চড়চড়ী

 একপ্রকার আনাজের, দ্বারাও বেশ চড়চড়ী হইতে পারে। পাকা বিলাতী কুমড়া ডুমা ডুমা করিয়া কুট। তেলে তেজপাত, লঙ্কা, কালজিরা, মেথি