পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়—শুক্তা।
৯৯

১১৪। শশার শুক্তা

 মটর ডাল বাটিয়া তেলে চাপড়ী ভাজিয়া রাখ। শশা বড় বড় ডুমা ডুমা করিয়া অথবা একটু লম্বা ছাঁদে কুটিয়া লও। বুড়া শশা হইলে একটু ভাপ দিয়া লইবে। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ও সরিষার গুঁড়া ফোড়ন দিয়া শশা ছাড়। আংসাও। নুণ, হলুদ দিয়া জল দাও। ফুটিলে ভাজা চাপড়ী ভাঙ্গিয়া টুকরা টুকরা করিয়া মিশাও। সিদ্ধ হইয়া জল শুকাইয়া আসিলে তিল-পিঠালী বাটা মিশাও। নামাইয়া একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

 কচি ছাঁচি কুমড়ার এই প্রকারে চাপড়ী ও তিল বাটা দিয়া শুক্ত রাঁধিবে। চাপড়ীর পরিবর্ত্তে ডালের বড়া অনুষঙ্গরূপে ব্যবহৃত হইতে পারে। চাপড়ী ও বড়া না দিয়া শুধু তিল-পিঠালী বাটা দিয়াও এই শুক্ত রাঁধিতে পার। সরিষা ফোড়ন বাদ দিতেও পার।

 মটরের বড়ী ভাজা অথবা জল-বড়া (পানিদলা) অনুষঙ্গরূপে ব্যবহার করিলে তিল-বাটা দিবে না। পিঠালীও দিবে না। আবার কোনরূপ অনুষঙ্গ না দিয়াও শশা বা কুমড়ার শুক্তা রাঁধিতে পার। কেবল নামাইয়া গাওয়া ঘি মিশাইবে।

 ডাইলের চাপড়ী ভাজা,—মটর বা খেসারীর ডাইল ভিজাইয়া রাখ। ঘণ্টা দুই পরে আধকচড়া করিয়া বাট। নুণ ও লঙ্কা বাটা মিশাও। কড়াইয়ে তৈল জ্বালে উঠাইয়া কড়া একটু কাৎ করিয়া ধর। তৈল তলা হইতে সরিয়া গেলে ডাইল বাটা অনেকটা লইয়া হাতে করিয়া তাল পাকাইয়া কড়াইর তলাতে বা তলার নিকটে রাখ এবং হাতে টিপিয়া বা চাপিয়া দুই আঙ্গুল পুরু করিয়া পিষ্টকাকারে বিছাইয়া দাও। এক্ষণে কড়াই পুনঃ সিধা কর—গরম তৈল আসিয়া চাপড়ীর গায়ে পড়িবে। এক পিঠ ভাজা হইয়া কঠিন হইলে উলটাইয়া দিয়া অপর পিঠ ভাজিয়া লইবে। এই ভাজা চাপড়ী