অনুষঙ্গরূপে বহু ব্যঞ্জনে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ইহা অমনি গরম গরম খাইতেও মন্দ লাগে না। অধিক কড়া করিয়া চাপড়ী ভাজা কর্ত্তব্য নহে।
১১৫। বুড়া বা পুরু কুমড়ার শুক্তা
বুড়া বা পুরু কুমড়া বা শশা ডুমা ডুমা বা ফলা ফলা করিয়া কুট। ভাপ দিয়া লও। তৈলে লঙ্কা, মেথি ও সরিষার গুঁড়া এবং শুকনা পাট (নালিতা) পাতা ফোড়ন দিয়া কুমড়া বা শশা ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া জল দাও। শুকাইলে নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।
পাটপাত না কষাইয়া শুক্তানিতে জল দিবার পরও ছাড়িতে পার। এই শুক্তানিতে তিল বাটা দেওয়া দেখা যায় না।
১১৬। করিলার শুক্ত
করিলা ও আনাজিকলা একটু লম্বা ছাঁদে কুটিয়া লও। কলায় হলুদ মাখ। মটর ডালের চাপড়ী ভাজিয়া রাখ। তৈলে (তেজপাত), লঙ্কা, মেথি ও সরিষা ফোড়ন দিয়া আনাজ ছাড। অংসাও। মুণ হলুদ দিয়া জল দাও। ফুটিলে ভাজা চাপড়ী ভাঙ্গিয়া টুকরা টুকরা করিয়া মিশাও। সিদ্ধ হইলে তিল-পিঠালী বাটা মিশাও। নাড়িয়া চাড়িয়া থকথকে করিয়া নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।
তিল বাটা দিলে সরিষা ফোড়ন দেওয়া অনেকে প্রশস্ত মনে করেন না।
১১৭। আনাজিকলার শুক্ত
কেবলমাত্র আনাজিকলা লইয়া ডুমা ডুমা বা ঈষৎ লম্বা ছাঁদে কুট। হলুদ মাখ। তৈলে (তেজপাত), লঙ্কা, মেথি ও সরিষার গুঁড়া ও দুটো পাট (নালিতা) পাতা ফোড়ন দিয়া কলা ছাড়। আংসাও। নুণ