দিয়া জল দাও। সিদ্ধ হইলে তিল-পিঠালী বাটা দিয়া থক্থকে করিয়া নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।
কেহ কেহ কলা সিদ্ধ করিয়া এককালে গলাইয়া ফেলিয়া পরে তিলপিঠালী বাটা দিয়া শুকাইয়া বেশ নসনসে গোছ করিয়া নামান।
১১৮। করিলা পাতার শুক্তা
মটর বা খেঁসারীর ডাইল বাটিয়া চাপড়ী ভাজিয়া লও। করিলা পাতা কুচাইয়া লও। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ও সরিষা (গুঁড়া) ফোড়ন দিয়া করিলা পাতা ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া অল্প জল দাও। ফুটিলে ভাজা চাপড়ী ভাঙ্গিয়া টুকরা টুকরা করিয়া ছাড়। সিদ্ধ হইলে তিল-পিঠালী বাটা মিশাও। থক্থকে গোছ হইলে নামাও। একটু গাওয়া ঘি মিশাও।
ডাইলের বড়া দিয়াও এই শুক্তা রাঁধিতে পার।
মটরের অথবা মাষকলাইর বড়া ভাজা এই শুক্তের অনুষঙ্গরূপে ব্যবহার করিতে পার। তৎক্ষেত্রে তিল-পিঠালী বাটা মিশাইবে না এবং ফলা করিয়া কুটিয়া বেগুন অথবা শিম মিশাইতে পার।
১১৯। তিল শুক্তা
শুক্না পাট (নালিতা) পাতা ভিজাইয়া রাখ। এই জল দিয়া তিল বাট। এতৎসহ দুই চারিটা নালিতা পাতাও বাটিয়া লইতে পার। একটু নুণ ও গাওয়া ঘি মিশাইয়া লও। ইহা আর রাঁধিতে হইবে না।
১২০। তিল-বেগুন
বোঁটা বাধাইয়া লম্বালম্বি চারি ফাঁক করিয়া বেগুন কুট (বড় বড় বেগুন লইবে)। নুণ হলুদ মাখ। তৈলে তেজপাত, লঙ্কা, মেথি ফোড়ন দিয়া বেগুন ছাড়। আংসাও। নুণ দিয়া জল দাও। সিদ্ধ হইলে তিল-পিঠালী