পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়—শুক্তা।
১০৩

ভাল হয়) ফোড়ন দিয়া করিলা ছাড়। আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া জল দাও। সিদ্ধ হইলে তিল-পিঠালী বাটা মিশাও। থকথকে হইলে নামাইয়া একটু আদা বাটা ও গাওয়া ঘি মিশাও।

 ঝিঙ্গা (তোরই), ধুমা, চিচিঙ্গা, কাকরী, শশা, কুমড়া প্রভৃতির এই প্রকারে ‘রাউতা’ রাঁধিবে। রন্ধনী ফোড়ন পড়াতে সাধারণ শুক্তা হইতে ভিন্ন প্রকারের হইল বলিয়া ইহার নাম রাউতা (?) হইয়াছে।

১২৪। করিলার তিতঝুরী

 এই ব্যঞ্জন কেবল পাকা করিলার দ্বারাই রাঁধিতে হয়। পাক করিলা সিদ্ধ করিয়া কুটিয়া লও। মটরের ডাইল বাটিয়া চাপড়ী ভাজিয়া লও। তৈলে তেজপাতা, লঙ্কা, মেথি ও সরিষা ফোড়ন দিয়া করিলা ছাড়, আংসাও। নুণ হলুদ দিয়া সামান্য একটু জল দাও। ফুটিলে চাপড়ী ভাঙ্গিয়া টুকরা টুকরা করিয়া মিশাও। নাড়। শুকাইয়া ঝুরঝুরে গোছ করিয়া নামাও। আদা বাটা ও একটু গাওয়া ঘি মিশাও।

১২৫। চাপড় ঘণ্ট

 চাপড় ঘণ্ট বরেন্দ্রের একটি অতি বিখ্যাত ব্যঞ্জন। ইহা নামে ঘণ্ট হইলেও প্রকৃত পক্ষে ইহা শুক্তা পর্য্যায় ভুক্ত বটে। ইহার আনাজ ঘণ্টের আনাজের ন্যায় মিহি করিয়া কুটিয়া লইতে হয় এবং শেষ পর্য্যন্ত ইহা ঘণ্টের ন্যায় নসনসে গোছ করিয়া রাঁধা হয় বলিয়া ইহাকে ঘণ্ট বলা হইয়া থাকে। মটর ডাইলের চাপড়ী ভাজিয়া বহুল পরিমাণে এই ‘ঘণ্টে’ অনুষঙ্গরূপে মিশান যায় বলিয়া ইহার নাম ‘চাপড় ঘণ্ট’ হইয়াছে।

 করিলা, পটোল, কাঁটালবীচি, গাভথোড়, পেঁপে, কুমড়া, শশা, (কুমড়া শশার ন্যায় জলভাগ বহুল আনাজ ইহাতে কম ব্যবহার করাই প্রশস্ত)