পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
বরেন্দ্র রন্ধন।

তৎসহ আরও অতিরিক্ত গরম মশল্লা ফোড়ন দিয়া খিঁচুড়ি রাঁধিলে আরও গুরুপক্ব হইবে। মাষকলাইর ডালের খিচুড়িতে দুটো মৌরি ফোড়ন দেওয়া অবশ্য কর্ত্তব্য এবং পেঁয়াজের পরিবর্তে তাহাতে হিঙ ফোড়ন দিতে হইবে। খিঁচুড়ি মাত্রেই পশ্চাৎ কিছু আদা ছেঁচা মিশান প্রয়োজন, বিশেষতঃ মাষকলাইর ডালের খিঁচুড়িতে আদা ছেঁচা অবশ্যই মিশাইতে হইবে।

 ইচ্ছা করিলে খিঁচুড়ির সহিত সিদ্ধের সময় গোটা আলু, গোটা পেঁয়াজ এবং কিসমিসাদি এবং সিদ্ধ পর বাটা ঝালও মিশান যাইতে পারে। অনেক দেশে খিঁচুড়িতে আরও বহু জিনিষ যথা—শশা কঁকুড়ের বীচি, নারিকেল কুরা প্রভৃতি মিশাইয়া থাকে; কিন্তু আমাদের দেশে খিঁচুড়ি বিশেষ জটিল করিয়া রাঁধা প্রচলিত নাই।


১৫৬। মুগের ডালের খিঁচুড়ি

 বালুতে ভাজা উৎকৃষ্ট সোণামুগের ডাইল দুই ভাগের সহিত এক ভাগ উত্তম মিহি চাউল (উষ্ণ বা আতপ) লও। হাঁড়িতে প্রথমে চাউল সিদ্ধ উঠাইয়া দাও। ফুটিলে তবে ডাইল ছাড়। নুণ হলুদ দাও। একটু চিনি দাও। ইচ্ছা করিলে গোটা কয়েক গোল আলু ছুলিয়া চাউল ডাইলের মধ্যে ছাড়িয়া সিদ্ধ করিতে পার এবং গোটা পেঁয়াজ ও দুটো কিসমিসাদিও ঐ সঙ্গে হাঁড়িতে ফেলিতে পার। জল এমন পরিমাণে দিবে যাহাতে অতিরিক্ত না হয় অথচ কমও না পড়ে, অর্থাৎ যাহাতে চাউল ডাইল সুসিদ্ধ হইবে অথচ খিঁচুড়ি ঝপ্‌ঝপে কিম্বা শুক্‌না শুক্‌না না হইয়া থকথকে গোছ হইবে। সুসিদ্ধ হইলে নামাইয়া অপর হাঁড়িতে ঘৃতে জিরা, তেজপাত, লঙ্কা এবং ইচ্ছা করিলে তৎসহ পেঁয়াজ, রশুন ও গরম মশল্লা‌ ফোড়ন দিয়া সিদ্ধ চাউল-ডাইল সম্বারা দাও। সম্বারা দিয়াই হাঁড়ির মুখ ঢাকিয়া দিবে। একটু পরে নাড়িয়া চাড়িয়া নামাও। একটু আদা ছেঁচা ও গাওয়া ঘি মিশাও।