পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্দ্দশ অধ্যায়—আচার ও কাসুন্দি।
২৩১

একত্রে জলে সিদ্ধ কর। সিদ্ধ হইলে একখানা ডালায় সমস্ত ঢালিয়া জল ঝরাইয়া ফেল। জল ঝরিয়া কাঁটাল খণ্ড ও বুটগুলি উত্তমরূপে শুষ্ক হইলে তাহাতে নুণ, হলুদ, কালজিরা, মৌরী, সরিষা এবং শুক্না লঙ্কা মাখ। কালজিরা, মৌরি ও সরিষা আধ কচড়া করিয়া গুড়া করিয়া যাইবে, এবং লঙ্কা বাটিয়া দিবে। তেলে ডুবাও। কয়েক দিবস ধরিয়া রৌদ্র খাওয়াইয়া সুপরিষ্কৃত হাঁড়িতে করিয়া পরিচ্ছন্ন শুষ্ক ঘরে উঠাইয়া রাখ।

২০৩। হরিফলের (নোড়ের) আচার

 ডাগর হরিফল ধুইয়া মুছিয়া একটি চেৎরা পাথরের খাদায় রাখ। উপরে পরিষ্কার নুণ ছড়াইয়া দিয়া রৌদ্রে দাও। শুকাইয়া আসিলে তেলে ডুবাও। পুনঃ রৌদ্র খাওয়াও। হাঁড়ি করিয়া উঠাইয়া রাখ। ইহাতে আর অপর কোনও মশল্লা দিতে হয় না। ডাগর করঞ্জার আচারও এই প্রকারে করিবে। তবে করঞ্জাগুলি বাধাইয়া রাখিয়া চিরিয়া ভিতর হইতে বীচি বাহির করিয়া ফেলিবে।

 আমলকী, জলপাই প্রভৃতি অম্লস্বাদ বিশিষ্ট নাতি বৃহৎ ফলের আচারও এই প্রকারে করিবে, তবে সেগুলির সকল গাত্র একটি সূচল বাঁশের খিলের দ্বারা বিঁধিয়া বিঁধিয়া দিয়া ভিতরে নুণ প্রবেশ করিবার ব্যবস্থা করিবে।

২০৪। লঙ্কার আচার

 (ক) বড় টোপা দেখিয়া সুপক্ব ‘কাঁচা’ লঙ্কা লও। দুই এক দিবস তেলে ডুবাইয়া রাখিয়া একটু নরম করিয়া লও। আবশ্যক বোধ না করিলে তেলে ডুবাইরে না। লম্বালম্বি ভাবে এক পার্শ্বে চিরিয়া ভিতর হইতে ‘শীষ’ (placenta) ও বীচি বাহির করিয়া ফেল। নুণ, হলুদ, কালজিরা, মৌরি, সরিষা, আমচুর একত্রে মিশাইয়া ভিতরে ভরিয়া