খ) ঘোল পান্তা — উপরি-উক্ত বিধানে প্রস্তুত করিবে এবং উপরি-উক্ত উপকরণ যোগে খাইবে, কেবল অন্ন জলে না ভিজাইয়া ঘোলে ভিজাইরা রাখিবে এবং খানকত লেবুপাতা তন্মধ্যে গুঁজিয়া দিয়া উহার সুঘ্রাণ করিবে।
(গ) আম্বজল বা র্কাজি— একটি পাতিলে (হাঁড়িতে) পুরাণ চাউলের ঝরঝরে ভাত জল সহ রাখ, পাঁচ সাত দিবস পরে উহা বিলক্ষণ অম্লগন্ধবিশিষ্ট হইলে জলটুকু ছাঁকিয়া লইবে। অন্ননাশক, স্নিগ্ধকারক প্রভৃতি বহুগুণবিশিষ্ট বলিয়। এই জলের প্রসিদ্ধি আছে। পূর্ব্বে প্রতি গৃহস্থ-বাটিতে ‘আ্ব জলের পাতিল' রাখা রীতি ছিল, এবং নিত্য তাহাতে দুটি অন্ন রাখা হইত, একবার র্কাজি ছাঁকিয়া লইলে পুনঃ জল দেওয়া হইত। পাতিল কখন সাফ করা হইত বলিয়া বোধ হয় না।
(ঘ) কড়কড়া ভাত —শীতকালে নুতন আমনের উষ্ণা চাউলের ভাত পূর্ব্ব দিন পাক করিয়া শুকাইয়া রাখিয়া পরদিন তৈল, নুণ, কাঁচা লঙ্কা অথবা মরিচ-বাটা দিয়া মখিয়া খাইবে। চিতল, আইড, ঢাঁই প্রভৃতি তৈলাক্ত মাছের বাসী ‘সরপড়া’ ঝোলের সহিত ও এই ‘কড়কড়া’ ভাত খইতে ভাল।
১৬। মুগের ডাইল সিদ্ধ
একখান নেকড়াতে বালুতে ভাজা মুগের ডাইল যথেষ্ট ঢিলা করিয়। বাঁধিয়া ভাতে ফেলিয়া সিদ্ধ করিবে। সিদ্ধ হইয়া বেশ মাখনের মত হইবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাঁটি গাওয়া ঘৃত ও নুন মাখিয়া সরু উষ্ণা চাউলের ভাতের সঙ্গে খাইবে।
মশুরের ডাইলও এইরূপ ভাবে ভাতে ফেলিয়া সিদ্ধ করবে। জল না ফুটিলে ডাইল ছাড়িও না। তাহা হইলে ডাল সিদ্ধ হইবে না। মশুরের ডাইল