পাতা:বরেন্দ্র রন্ধন.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
বরেন্দ্র রন্ধন।

ইয়া লইয়া পরে গোল প্রভৃতি আকারে গড়িবে। ডুমুর, ইঁচড়, বাঁধা কোবি প্রভৃতির ‘মাফিন’ এই প্রকারে ভাজিবে। তাহাদের আটা বাঁধিবার জন্য ডিমের হরিদ্রাংশের সহিত কিছু ময়দা মিশাল দিতে হইবে।

৩২। বেগুণ ভাজি

 বেগুণেরঙ্গবিশিষ্ট বিচিশূন্য বৃহদাকার নূতন বেগুণই ভাজিবার যোগ্য। ‘শলিয়া’ বেগুণেও ভাজা মন্দ হয় না। বেগুণ চাকা চাকা, ফলা ফলা বা ডুমা ডুমা আকারে কুটিয়া নুণ হলুদ ও একটু চিনি মাখিয়া ভাসা তেলে বা ঘৃতে বেশ মোলায়েম করিয়া ভাজ।

 বোঁটাব দিকে বাধাইয়া রাখিয়া দুই বা চারি খণ্ড করিয়া চিরিয়া নুণ হলুদ ও একটু চিনি মাখিয়া ব্যাপারাদিতে লুচীর সহিত খাইবার জন্য বেগুণ ভাজা হইয়া থাকে।

 পাজের ফুল্কার (কলি) সহিত বেগুণ ভাজা যায়। বিবিধ শাকের সহিত বেগুণ ভাজা হয়। ফাল্গুন চৈত্র মাসে বেগুণ বুড়া হইলে এবং নূতন নিমপাতা বাহির হইলে তৎসহ ভাজা যায়। নূতন করিলার সহিতও এই প্রকারে ভাজিয়া খাইতে পার।

৩৩। বেগুণের বড়া

 বেগুণ পোড়াইয়া উত্তমরূপে ছানিয়া লও। নুণ লঙ্কা বাটা ও একটু চিনি মিশাও। দুই ভাগ বেগুণের সহিত একভাগ চাউলের গুঁড়া (সফেদা) মিশাইয়া এবং তাহাতে একটু তৈল ময়ান দিয়া উত্তমরূপে ফেনাও। ভাসা, তৈলে বড়ভাজ।

৩৪। পটোল ভাজি

 (ক) কচি পটোলের গায়ের সব্‌জা বটি দিয়া চাঁছিয়া উঠাইয়া ফেলিয়া দুই ফাঁক করিয়া কুট। অথবা পটোল একটু বড় হইলে পুনঃ তাহার মধ্যে