পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বহুবিবাহ।
১৩

মূল

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশো বরাঃ॥

তর্কবাচস্পতি মহাশয়, কিঞ্চিৎ পরিশ্রম ও কিঞ্চিৎ বুদ্ধি চালনা করিলেই, অনায়াসে প্রকৃত পাঠ ও প্রকৃত অর্থ নির্ণয় করিতে পারিতেন, এবং, তাহা হইলে, অকারণে আমার উপর খড়্গহস্ত ও নিতান্ত নির্বিবেক হইয়া, বৃথা বিতণ্ডায় প্রবৃত্ত হইতেন না। তিনি যে, রোষে ও অনবধানদোষে সামান্যজ্ঞানশূন্য হইয়া, বিচারকার্য্য নির্ব্বাহ করিয়াছেন, তৎপ্রদর্শনার্থ পদবিশ্লেষসহকৃত মনুবচন উদ্ধৃত হইতেছে।

সবর্ণাগ্রে  দ্বিজাতীনাং  প্রশস্তা  দারকর্ম্মণি।
সবর্ণা অগ্রে দ্বিজাতীনাং  প্রশস্তা  দারকর্ম্মণি।

কামতস্তু  প্রবৃত্তানামিমাঃ  স্যুঃ ক্রমশো বরাঃ॥
কামতঃ তু  প্রবৃত্তানাম্ ইমাঃ স্যুঃ ক্রমশঃ অবরাঃ॥

“ক্রমশঃ অবরাঃ” এই দুই পদে সন্ধি হওয়াতে, পদের অন্তস্থিত ওকারের পরবর্ত্তী অকারের লোপ হইয়া, “ক্রমশো বরাঃ” ইহা সিদ্ধ হইয়াছে। এরূপ সন্ধি স্কুলে, পাঠকদিগের বোধসৌকর্য্যার্থে, লুপ্ত অকারের চিহ্ন রাখিবার ব্যবহার আছে। কিন্তু সকল স্থলে সকলকে সে ব্যবহার অবলম্বন করিয়া চলিতে দেখা যায় না। যদি এস্থলে সুপ্ত অকারের চিহ্ন রাখা যায়, তাহা হইলে “ক্রমশো হবরাঃ” এইরূপ আকার হয়। লুপ্ত অকারের চিহ্ন পরিত্যক্ত হইলে, “ক্রমশো বরাঃ” এইরূপ আকার হইয়া থাকে। দুর্ভাগ্যক্রমে, মনুসংহিতার মুদ্রিত পুস্তকে লুপ্ত অকারের চিহ্ন না থাকাতে, সর্বশাস্ত্রবেত্তা তর্কবাচস্পতি মহাশয় “অবরাঃ” এই স্থলে “বরাঃ” এই পাঠ স্থির করিয়া, তদনুসারে মনুবচনের অর্থ নির্ণয় করিয়াছেন। সুতরাং, তাঁহার অবলম্বিত অর্থ