পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
বহুবিবাহ।

বচনের প্রকৃত অর্থ বলিয়া পরিগৃহীত হইতে পারে না। তাঁহার সন্তোষার্থে, এ স্থলে উল্লেখ করা আবশ্যক, “অবরাঃ” এই পাঠ আমার কপোলকল্পিত অথবা লোকবিমোহনার্থে বুদ্ধিবলে উদ্ভাবিত অভিনব পাঠ নহে। ইতিপূর্ব্ব দর্শিত হইয়াছে, মাধবাচার্য্য পরাশরভাষ্যে “অবরাঃ” এই পাঠ ধরিয়া মনুবচনের ব্যাখ্যা করিয়াছেন। পাঠকদিগের সুবিধার জন্য, এ স্থলে তদীয় ব্যাখ্যার ঐ অংশ পুনরায় উদ্ধৃত হইতেছে;—

 “ ধর্ম্মার্থমাদৌ সবর্ণামূঢ়া পশ্চাৎ রিরংসবুশ্চেৎ তদা তেসাম্
 “অবরাঃ” হীনবর্ণাঃ ইমাঃ ক্ষত্রিয়াদ্যাঃ ক্রমেণ ভার্য্যাঃ স্যুঃ।

মিত্রমিশ্রও “অবরাঃ” এই পাঠ ধরিয়া মনুর অভিপ্রায় ব্যাখ্যা করিয়াছেন। যথা,

  “অতএব মনুনা

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যুঃ ক্রমশোহ বরা ইতি॥

  কামতঃ ইতি “অবরাঃ” ইতি চ বদতা সবর্ণাপরিণয়নমেব মুখ্যমিত্যুক্তম্[১]

বিশ্বেশ্বরভট্টও এই পাঠ বরিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন। যথা,

  “অথ দারানুকল্পঃ তত্র মনুঃ

সবর্ণাগ্রে দ্বিজাতীনাং প্রশস্তা দারকর্ম্মণি।
কামতস্তু প্রবৃত্তানামিমাঃ স্যু ক্রমশোহ বরাঃ॥

 “অবরাঃ” জঘন্যাঃ[২]

জীমূতবাহন স্বপ্রণীত দায়ভাগগ্রন্থে “অবরাঃ” এই পাঠ ধরিয়াছেন। যথা,


  1. বীরমিত্রোদয়, ব্যবহারপ্রকাশ, দায়ভাগপ্রকরণ|
  2. মদনপারিজাত, বিবাহপ্রকরণ।