২৮
দারোগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।
সু। সম্প্রতি।
অ। কত দিন আগে মনে নাই?
সু। প্রায় তিন চারি মাস হইবে।
আ। সে সময় তুমি কোথায় শুইতে?
সু। দিদির ঘরে।
আ। তখন কোন শব্দ শুনিতে পাইয়াছিলে?
সু। কই, না।
আ। সে সময় কি তুমি একা শুইতে?
সু। না, আমার দাসীও আমার কাছে থাকিত।
আ। এ ঘরে নল বসান কেন হইল, বলিতে পার?
সু। না-সে কথা কাকাকে কে জিজ্ঞাসা করিবে? আর জিজ্ঞাসা করিলেও কাকা কোন উত্তর করিতেন না।
অ। কেন?
সু। তিনি বলেন, আমার বাড়ী, আমি যাহা ইচ্ছা করিব, অপরের তাহাতে কোন ক্ষতি বৃদ্ধি নাই।
আ। তখন তোমার বিবাহের কোন কথা হইয়াছিল কি? বিবাহের নাম শুনিয়া সুধার মুখ লজ্জায় রক্তিমবর্ণ ধারণ করিল। সে ঘাড় হেঁট করিয়া হাতের নখ খুটিতে লাগিল, মুখে কোন উত্তর করিল না।
সুধাকে লজ্জিতা দেখিয়া আমি অতি নম্রভাবে বলিলাম, মা! আমি তোমার পিতার মত। বিশেষতঃ তোমার ভাবী শ্বশুরের কথায় এই কার্য্যে নিযুক্ত হইয়াছি। আমার কাছে কথা বলিতে লজ্জা কি? সকল কথা না জানিতে পারিলে আমি এ কার্যে সফল হইতে পারিব না।”