মোস্তফা কামালকে ২৪ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাঁকে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
ফলিত পদার্থ বিজ্ঞানের প্রধান ডঃ রফিককেও গ্রেফতার করে বন্দী শিবিরে নিয়ে গিয়ে আটক রাখা হয়। প্রায় আটদিন ধরে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালানোর পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী জনান যে, সেনারা হাবিব ব্যাঙ্কের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা লুট করে এবং কুমারী মেয়েসহ বহু মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচার করে। তিনি বলেন, একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর পত্নী এবং ৩২ বৎসর বয়সের কন্যাকেও তারা রেহাই দেয়নি। তিনি বলেন পাক সেনারা এতই নিষ্ঠুর ছিল যে একজন অধ্যাপককে হত্যা করার পর তাঁর তরুণী মেয়েদেরকে একজন সামরিক অফিসারের গৃহে গান গাইতে বাধ্য করে।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অসংখ্য কবর রয়েছে যা থেকে আরও বহু লাশ উদ্ধার করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিওন আবুল বাশার জোহা হলের নিকট বাস করতো। তাকে কবর খনন করতে বাধ্য করা হতো। তার কাছ থেকে জানা যায় যে, জোহা হলের নিকট অন্যূনপক্ষে তিন হাজার লাশের কবর দেওয়া হয়েছে।