পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূবৰ্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ A বাধিয়া বধ করিবার উপক্রম করিলে স্বয়ং ভগবান নৃসিংহ রূপ ধরিয়া থামটির শীর্ষদেশ হইতে বাহির হইয়া ভক্তকে রক্ষা করেন। এই থামের উপর পূবেৰ্ব একটি সিংহ মুক্তি ছিল বলিয়া কথিত। গড়টির পাশ দিয়া যে ছোট নদীটি চলিয়া গিয়াছে তাহার নাম হিরণ্য নদী। জালালগড়—কাটিহার জংশন হইতে ২৯ মাইল দূর। স্টেশনের অতি নিকটে একটি পুরাতন ভগ্ন দুর্গ আছে । দুর্গটি সমচতুষ্কোণ, ইহার উচচ প্রাচীরগুলি এখনও বিদ্যমান আছে । খাগড়ার নবাব বংশের রাজা সৈয়দ মহম্মদ জলাল উদ্বীন কর্তৃক সপ্তদশ শতাব্দীতে ইহা নিৰ্ম্মিত হয়। নেপালী গুর্থীগণের আক্রমণ হইতে দেশরক্ষা করিবার জন্যই প্রত্যন্ত প্রদেশে এই দুর্গটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । জালালগড় স্থানটি বেশ স্বাস্থ্যকর। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে পূর্ণিয়া জেলার সদর এই স্থানে স্থানান্তরিত করিবার কথা উঠিয়াছিল, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ উহা অার ঘটিয়া উঠে নাই । আরারিয়া কোর্ট—কাটিহার জংশন হইতে ৪১ মাইল দূর। ইহা পূর্ণিয়া জেলার একটি মহকুমা। এই স্থানের পূর্ব নাম বসন্তপুর। এই শহরটি পনার নামক নদীর তীরে অবস্থিত। ফরবেসগঞ্জ—কাটিহার জংশন হইতে ৫৯ মাইল। ইহা পূর্ণিয়া জেলার একটি বাণিজ্য প্রধান স্থান। পাটই এখানকার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য। এ, জে, ফরবেস নামক জনৈক সাহেব জমিদারের নাম হইতে এই স্থানের নামকরণ হইয়াছে। স্থানটি বেশ স্বাস্থ্যকর। শীতকালের দিনে আকাশ পরিস্কার থাকিলে এখান হইতে হিমালয় পবর্বতের তুষার শুভ্ৰ শৃঙ্গগুলি দেখিতে পাওয়া যায়। যোগবণী—কাটিহার জংশন হইতে ৬৭ মাইল দূর। এই স্থানটি ব্রিটিশ অধিকারের শেষ সীমানায় অবস্থিত । স্টেশনের এলাকার বাহির হইতেই স্বাধীন নেপাল রাজ্যের সীমানা আরম্ভ হইয়াছে। এই স্থানের প্রাকৃতিক দৃশ্য অতি সুন্দর। ইহার অদূরে তরাইএর গভীর অরণ্য ও হিমালয় পবর্বতের সানুদেশ। ইহা নেপাল রাজ্যে প্রবেশ করিবার অন্যতম সিংহদ্বার। যোগবণী হইতে নেপাল রাজ্যের অন্তর্গত প্রসিদ্ধ তীর্থ বরাহছত্র ও ৫১ মহাপীঠের অন্যতম বলিয়া কথিত দন্তপীঠে যাওয়া যায়। এই দুইটি তীর্থ পরস্পরের অতি নিকটে অবস্থিত। যোগৰণী হইতে এই স্থানের দূরত্ব প্রায় ৪০ মাইল। কোশী বা কৌশিকী নদীর তীর দিয়া পাবর্বত্য পথে যাইতে হয়। দন্তপীঠে সতীর অধোদন্ত পড়িয়াছিল, এখানে দেবীর নাম বারাহী, ভৈরব মহারুদ্র। বরাহছত্রে বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার বরাহের মুক্তি প্রতিঠিত আছে। একটি পবর্বতশৃঙ্গের পাদদেশে এই তীর্থ অবস্থিত। প্রতিবৎসর কাত্তিকী পূর্ণিমার সময় এখানে মহামেলা হয় ও সেই সময়ে যোগবণী হইতে ইহার নিকটবৰ্ত্তী স্থান পর্য্যন্ত মোটরবাস যাতায়াত করে। <ూలైమ్దాస్గో