পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূবৰ্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ 65 ... খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে ঢাকার অমৃতী, মালাই, পণীর ও নারানখাদ ও বাকরখানি রুটির খ্যাতি আছে। --محمسمسمبستیی. নদী-বহুল ঢাকা অঞ্চলে নানাপ্রকারের নৌকা দৃষ্ট হয়, যথা—কোষা, বজরা, ভাওয়ালী, ছান্দী, ছিপ, নাওধুৰী, সারেঙ্গা, কুমারিয়া, পলওয়ার, ডিঙ্গী, পানসী প্রভৃতি। তালতলা—ঢাকা হইতে ১০ মাইল উত্তর-পূবেব রূপগঞ্জ থানা অবস্থিত। এই থানার মধ্যে নিকটে লাক্ষ্যা নদীর তীরে ডাঙ্গাবাজার গ্রামের নিকট তালতলা গ্রামে সাধকপ্রবর কথুনাথের সমাধি ও উপাসনা-মন্দির অবস্থিত। কথিত আছে এই স্থান প্রথমে ভীষণ জঙ্গলাকীর্ণ ছিল, কখুনাথ আসিয়া গুরুদত্ত শিঙ্গা ধুনি করিতে থাকিলে জঙ্গলের পশুগুলি অন্যত্র চলিয়া যায় এবং ক্রমে লোকের বসতি হয়। প্রায় তিনশত বৎসর পূবেৰ্ব শিলমন্দি গ্রামে কথুনাথের জন্ম হয়। তিনি জননীর একমাত্র পুত্র ছিলেন এবং যৌবনে মাতা ও পত্নীকে ফেলিয়া ধৰ্ম্ম সাধনার জন্য নানা স্থানে ঘুরিয়া শ্রীহট্ট জেলায় বিথঙ্গলে রামকৃষ্ণ গোসাইয়েরএ আখড়ায় উপস্থিত হন। কখুনাথকে পরীক্ষার্থ রামকৃষ্ণ পাদোদক আনিবেন বলিয়া তাঁহাকে অপেক্ষা করিতে নির্দেশ দিয়া মন্দির মধ্যে প্রবেশ করেন এবং নয় দিন পরে বাহির হইয়া দেখেন কখুনাথ একই ভাবে দণ্ডায়মান। তখন প্রীত হইয়। রামকৃষ্ণ কখুনাথকে দীক্ষা দান করেন। কখুনাথ ধৰ্ম্ম সাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়া তালতলা গ্রামে আসিয়া বাস করেন। বাছিলা—ঢাকা হইতে বুড়ীগঙ্গা তীরে উত্তর-পশ্চিমে ৫ মাইল দূরে অবস্থিত। মাঘী পূর্ণিমার স্নান উপলক্ষে এখানে ঢাকা হইতে বহু লোকের সমাগম হয়। “ ইহা কুশাগাড়ার বারি ” (বারুণী) নামে খ্যাত। প্রবাদ প্রাচীনকালে পাঁচজন মুনি এই স্থান কঠোর তপস্যা করিয়া কুশ । গাড়িয়া বা পুতিয়া রাখিয়াছিলেন। - কলাকোপা—ঢাকা হইতে ১৮ মাইল পশ্চিমে নবাবগঞ্জ থানা । এই থানার অন্তর্গত কলাকোপা গ্রামে মহাত্মা দাতা খেলারাম নিৰ্ম্মিত নবরত্ন মন্দির ও ক্ষেপা রাণীর আখড়া ও বলাই বাউলের আখড়া নামে বাউল-সম্প্রদায়ের দুইটি আখড়া আছে। ধৰ্ম্মসাধনার জন্য ক্ষেপ রাণী খ্যাতিলাভ করিয়াছিলেন। এ অঞ্চলে সুন্দর মাটির জিনিস তৈয়ারী হয়। তেল রাখিবার জন্য এখানকার মাটির মটকা গুলিতে চল্লিশ মণ পৰ্য্যন্ত তেল ধরে। মীরপুর—ঢাকা হইতে ৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে তুরাগ নদীর তীরে উচচ ভূমির উপর অবস্থিত মীরপুরের দৃশ্য সুন্দর। প্রসিদ্ধ আউলিয়া হজরৎ শাহ আলি সাহেবের দরগাহ এখানে অবস্থিত। কথিত আছে, চারি শত বৎসর পূবেৰ্ব বোগদাদের রাজকুমার হজরৎ শাহ আলি চারজন শিষ্য সহ "এই স্থানে আসিয়া অবস্থান করেন। শিষ্যগণকে তাহার ধ্যানভঙ্গ করিতে নিষেধ করিয়া দেড় বছর অনশন ব্রত লইয়া তিনি মসজিদে দ্বাররুদ্ধ করিয়া সাধনায় মগ্ন হন। দেড় বছরের একদিন মাত্র বাকি থাকিতে শিষ্যগণ বুদ্ধদ্বার মসজিদ মধ্যে অস্পষ্ট আওয়াজ শুনিয়া দ্বার ভাঙ্গিয়া দেখিলেন আউলিয়। তথায় নাই এবং আগুনের উপর একটি পাত্রে রক্ত ফুটিতেছে। কিছ পরেই তাহারা গুরুর কন্ঠস্বরে আকাশ বাণী শুনিলেন এবং পাত্রস্থ রক্ত সমাহিত করিতে আদিষ্ট হইলেন। সেইমত তাহারা রক্ত সমাহিত করিলেন। তদবধি এই স্থান বিশেষ পূত বলিয়া গণ্য হয় এবং সহস্ৰ সহস্র নর নারী এই