পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮼ Ꮼ বাংলায় ভ্ৰমণ : عہ সমাধি দর্শনে আসেন। হজরৎ শাহ্ আলি ১৫৭৭ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন, কিন্তু তিনি যে মসৃজিদে সমাহিত উহ। ১৪৮০ খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হয়। মীরপুরের নিকট স্থানে স্থানে তুরাগ নদীতে ঝিনুকের মধ্যে ছোট ছোট মুক্ত পাওয়া যায়। : সাভার—ঢাকা হইতে ১৬ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ধলেশ্বরী ও বংশী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত একটি বাণিজ্যকেন্দ্র। পূবেৰ্ব এই স্থানে সন্তার বা সম্ভাগ নামে একটি রাজ্য ছিল বলিয়া কথিত ; পরে ইহা সবের্বখুর নগরী নামে পরিচিত হয়। প্রবাদ রাজা হরিশ্চন্দ্র পাল মেদিনীপুর অঞ্চল হইতে এই স্থানে আসিয়া রাজ্য স্থাপন করেন। সাভারের পূর্বদিকে বলীমোহর নামক স্থানে তাহার প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। তাহার দুগটি এখন “ কোঠা বাড়ী ’ নামে একটি মৃত্তিকাস্তুপ ; ইহার মধ্যভাগের একটি গহ্বর হইতে গোলাবর্ষণ করিয়া সৈন্যগণ নিরাপদে যুদ্ধ করিত। ইহা আধুনিক কালের ট্রেঞ্চের কথা স্মরণ করাইয়া দেয়। হরিশচন্দ্রের দুই মহিষী কণাবতী ও ফুলেশ্বরীর নাম হইতে নিকটস্থ কর্ণপাড়া ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের নাম হয় ও তাঁহার দুই কন্যা উদুনা ও পদুনার সহিত পেটকা নগরের রাজা গোবিন্দচন্দ্র বা গোপীচন্দ্রের বিবাহ হইয়াছিল বলিয়া কথিত। রংপুর ও কুড়িগ্রাম স্টেশন দ্রষ্টব্য। কর্ণপাড়ার রাজার ‘তামুল বাড়ী’ বলিয়া পরিচিত স্তুপটি একটি বিরাট চৈত্যের ধ্বংসাবশেষ বলিয়া অনেকে মনে করেন। রাজা হরিশচন্দ্র ৫০টি জলাশয় খনন করাইয়াছিলেন, উহা আজও “ সাড়ে বার গণ্ড৷ ” নামে খ্যাত। তিনি ধৰ্ম্মের জন্য স্বীয় পুত্রকে পর্য্যস্ত বলি দিয়াছিলেন বলিয়া কথিত। এ অঞ্চলের জঙ্গলমধ্যে খৃষ্টীয় নবম দশম শতাব্দীর কারুকার্য্য খচিত বহু পাথর ও ইটের টুকরা দৃষ্ট হয়। সাভার প্রভৃতি গ্রামে এই কবিতাটি চলিত আছে ; বংশাবতী পূৰ্ববতীরে সবের্বশুর নগরী। বৈসে রাজা হরিশ্চন্দ্র জিনি সুরপুরী। ধামরাই—সাভার হইতে ৪ মাইল ও ঢাকা হইতে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে বংশী নদীর তীরে অবস্থিত একটি পুরাতন স্থান । পুরাতন কাগজ পত্রে ধামরাই ধৰ্ম্মরাজিয়া নামে উল্লিখিত বলিয়া অনেকে অনুমান করেন যে সম্রাট অশোক-প্রতিষ্ঠিত ৮৪ হাজার ধৰ্ম্মরাজিকাস্তম্ভের একটি এই গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এখানে একটি বৃহৎ কারুকার্য্যখচিত রথ আছে ; ইহা এবং এখানকার যশোমাধব বিগ্রহ মাধবপুরের রাজা যশোপাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় বলিয়া কথিত। ধামরাইএর ৬ মাইল উত্তরে বৰ্ত্তমান গাজীবীড়ী পূবেৰ্ব মাধবপুর নামে পরিচিত ছিল। প্রবাদ রাজা যশোপাল একবার একদন্ত শ্বেতহস্তী চড়িয়া ভ্রমণকালে ধামরাই গ্রামের এক উচচ ঢিবির সম্মুখে আসিলে তাহার হস্তী আর কিছতেই অগ্রসর হইতে চাহিল না এবং পিছনের দিকে চলিতে লাগিল। তখন রাজাদেশে স্থানটি খনিত হইলে মাধবের মৃত্তি ও মন্দির আবিস্কৃত হয়। যশোপালের নাম হইতে দেবতা যশোমাধব নামে পরিচিত হন। আরও প্রবাদ পুরীধামের প্রথম জগন্নাথ মূৰ্ত্তি নিম্মাণ করিয়া যে কাষ্ঠ অবশিষ্ট ছিল তাহা দিয়া যশোমাধবের মুক্তি নিৰ্ম্মিত হয়। রথের সময়ে এখানে বৃহৎ মেলা ও সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের সমাগম হয় । এই মেলায় লোকশিল্পের নিদশন কিছু কিছু দ্রব্যাদি দৃষ্ট হয় 1 যশোমাধবের ভোগ বিন লবণে প্রস্তুত হয়। যশোমাধব ব্যতীত ধামরাই গ্রামের আদ্যাশক্তি, বাসুদেব ও রাধানাথেরও বিশেষ খ্যাতি আছে। রাধানাথের নিকটে অনেকে চক্ষুঃপীড়ার শাস্তির