পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা Σ Φ সবদেশেই গদ্যসাহিত্যের স্বষ্টি হয় কাব্যসাহিত্যের অনেক পরে। গদ্য হচ্ছে প্রধানত কারবারের ভাষা । যে-গদ্য সাহিত্যের বাহন, বাংলাদেশে সে-গদ্য তৈরি হতে আরো পাচ শো বছর সময় লেগেছিল। আর-এক বিদেশী রাজত্বের সংস্পর্শে এসে এই গদ্যের আরম্ভ হয় ও কালে কালে তার উন্নতি ঘটে । ইংরেজদেরই চেষ্টায় আর সাহায্যেই যে বাংলা গদ্যের প্রতিষ্ঠা, এ-কথা এক উৎকট স্বদেশাভিমানী ব্যক্তি ছাড়া আর সকলেই স্বীকার করবেন। তা ছাড়া, সাহিত্যের গদ্য যুক্তিমার্গের উপর প্রতিষ্ঠিত। বাঙালীর জীবনে ভক্তিমাৰ্গ ছেড়ে যুক্তিমার্গের ধারা আরম্ভ হয় সেই উনিশ শো শতাব্দীর শুরু থেকে । মুসলমান রাজত্বকালে বাংলাদেশের কারবারী ভাষা ছিল ফাসী। কিন্তু মুশকিল এই যে, মামুষের তো কেবল কারবার নিয়েই কাজ চলে না । মনের কথা অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে না-পারলে মানুষের দিন কাটে না । এরই তাড়নায় তো মানুষ পদ্য লেখে । কারণ, পদ্য এক-মানুষের মনের কথা অন্ত-মানুষের মনের কাছে পৌছে দিতে একেবারে পয়লা নম্বরের ওস্তাদ । তাই, মনের কথা বিদেশী ভাষায় প্রকাশ করতে না পেরে বাংলাদেশের লোকেরা বাংলা ভাষাতেই পদ্যরচনা শুরু করে দিলেন । সংস্কৃতের অঁটিসাট পোশাকী ভাষা ছেড়ে বেশ ঢিলেঢালা আটপৌরে ংলা ভাষাতে মনের কথা ব্যক্ত করতে পারায় লাভ হল এই যে, ভাষায় লেখা পন্থগুলো এক-একটা আদত লিরিক হয়ে উঠল। আর সেইসঙ্গে বাংলা ভাষাও পেল বাংলাদেশেরই একটা নিজস্ব রূপ । এই সময় থেকেই বাংলা ভাষা দানা বাধতে শুরু করেছিল । ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে যারা মশগুল তারা জানেন, ইংরেজ কবি চসারের ইংরেজির সঙ্গে ইংরেজি বাইবেলের আর মহাকবি শেক্সপীয়রের