পাতা:বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা লিরিকের গোড়ার কথা 8 (t বা বৈষ্ণব-পদাবলী বলে আখ্যা দিয়ে থাকলেও এটা তাদের সঠিক ७प्रां ॐ] नधि । চৈতন্য মহাপ্রভু বাংলাদেশে যে-ধর্মের প্রবর্তন করলেন, তার সাধনের একটা প্রধান অঙ্গ ছিল নামকীর্তন। মহাপ্রভুর ভক্ত শিষ্যেরা বাংলা ভাষায় রচিত প্রাচীন কবিতাগুলো হাতের কাছে পেয়ে তাতে কীর্তনের স্বর জুড়ে দিয়ে, তাদের নামকীর্তনের কাজে লাগিয়ে নিলেন । স্বয়ং মহাপ্ৰভু যে ছেলেবয়েস থেকে শেষপর্যন্ত চণ্ডীদাস বিদ্যাপতির গানের অনুরাগী ছিলেন তার পরিচয় পাওয়া যায় তার জীবন-চরিতে । গোস্বামী কৃষ্ণদাস কবিরাজকৃত চৈতন্যচরিতামৃতে উল্লেখ আছে : বিদ্যাপতি জয়দেব চণ্ডীদাসের গীত । আস্বাদেন রামীনন্দ-স্বরূপ সহিত ৷ —আদিলীলা, ১৩ পরিচ্ছেদ, ৪২ শ্লোক চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি রায়ের নাটক গীতি কর্ণামুত শ্ৰগীতগোবিন্দ । স্বরূপ-রামামন্দ-সনে মহাপ্রভু রাত্রিদিনে গায় শুনে পরম আনন্দ ॥ —মধ্যলীলা, ২ পরিচ্ছেদ, ৭৭ শ্লোক একদিন প্রভু স্বরূপ-রামানন্দ সঙ্গে । অধরাত্রি গোঙাইলা কৃষ্ণকথা রঙ্গে । যবে যেই ভাব প্রভু করয়ে উদয় । ভাবানুরূপ গীত গায় স্বরূপ মহাশয় । বিদ্যাপতি চণ্ডীদাস শ্ৰীগীতগোবিন্দ । ভাবানুরূপ শ্লোক পড়েন রায় রামাননা । —অস্তলীলাঃ ১৭ পরিচ্ছেদ, ৪, ৫,৬ শ্লোক