পাতা:বাগেশ্বরী শিল্প-প্রবন্ধাবলী.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপ ৩৩৫ কাঠুরে এবং তুমি আমিও দেখবো শুকনো কাঠ কিন্তু রূপদক্ষ যে সে দেখবে করুণ রসে সিক্ত বিরস বনস্পতিকে জীবন্তবৎ—এই হ’ল নিয়ম। না হ’লে সমালোচক সেও যে পড়ে যায় রূপদক্ষের কোঠায় ! রূপ প্রকাশের পূর্বে তিন অবস্থার মধ্য দিয়ে চল্লো—ঘটিত অবস্থা, লাঞ্ছিত অবস্থা, রঞ্জিত অবস্থা। চলিত কথায় আমরা বলি সাদামাট অবস্থা, ছক অবস্থা, রাঙ্গানো অবস্থা । - সাদামাটা অবস্থায় ঘটনা রয়েছে দ্রষ্টার অগোচরে আর্টিষ্টের মনে এবং সাদা কাগজে সাদা পাথরে সোনার তালে মাটির ভূপে। খানিকট। গোচর হ’ল রূপ যখন নানা দাগদোগ মাপজোখ নিয়ে একটা কাঠামে৷ পেলে ঘটনাটি, তারপর আলো ছায়া রঙ বেরঙে রঙিয়ে উঠলো সমস্ত ঘটনাটি—এই নিয়ম ধরে রূপের প্রকাশ আর্টে । যেন বৃন্ত হ’ল কলি জাগলো ফুল ফুটলো পরে পরে। কিন্তু তম্ *to foxtroto-Grotesque oth Caricature— বৈরূপ্য শিল্পের এ দুটাে প্রকাশ। কিন্তত যে সমস্ত রূপ এবং কিমাকার যে সমস্ত রূপ দুয়ের মধ্যে এক আইন কায করছে না। যেখানে রেখা সমস্ত আকৃতি পাবার বেলায় একটা নিয়ম ধরে বঁাকছে সোজা হচ্ছে—মানুষ পাচ্ছে গাছের রূপ, আধা মানুষ আধা গাছ রূপ, নরসিংহরূপ, অধনারীশ্বর রূপ, কিন্নর রূপ—ভূষা ও মণ্ডন শিল্পের নিয়ম এবং ছন্দ ধরে রেখা রঙ সবই সেখানে প্রকাশ পাচ্ছে এবং রূপটি সেখানে একটা ভবিতব্যতা স্বীকার করছে, সেখানে সেটিকে বলা চল্লো কিন্তু তরূপ বা Grotesque রূপ। Caricature বা কিমাকার সে এক আকৃতির বৈরূপ্য করা ছাড়া আর কোনো কিছু করছে না বা Grotesque অর্থাৎ কিন্তুতের মতো মানানসই রূপও দিচ্ছে না। বেমানান অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রেখা রঙ সমস্ত দিয়ে বেমানান রূপ প্রকাশ করাই হ’ল Caricature সাদৃশ্ব সম্বন্ধে যখন বলবে তখন এদের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া যাবে, এখন ভূষা-নিরপেক্ষ রূপ–রপদক্ষের চরম দক্ষত। যার সৃষ্টি করার বেলায় দেখাতে হয়—সেই বিষয়ে বলে’ আলোচনা শেষ করি । “অঙ্গান্তভূষিতান্তেব কেনচিদ্ৰ ভূষণাদিন । যেন ভূষিতবদ্‌ ভান্তি তদ্রপমিতি কথ্যতে।” রূপজগতে কেবলি রয়েছে ‘সাজ সাজ ধ্বনি-যেন নাচঘরের