পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ বাঙ্গলা-ব্যাকরণ । নবম পরিচ্ছেদ । পদ্য । - পরিমিত বর্ণে গ্রথিত এবং বিশেষ ছন্দে বিন্যস্ত যে বাক্যাংশ বা বাক্য তাহ চরণ বা গাদ। সংস্কৃতে উক্তৰূপ চারি < চরণে এক শ্লোক হওয়াতে পদ্য চতুষ্পদী বলাগিয়াথাকে। বাঙ্গলাতেও সংস্কৃত শ্লোকানুসারে চারি চরণের স্থান প্রায়* ব্যবহৃত না হওয়াতে বাঙ্গলা পদ্যও চতুষ্পদী বলিলে বলাযাইতে পারে। (সংস্কৃত) পদ্য বৃত্ত ও জাতি এই দুই প্রকারে দ্বিধা –অক্ষর সংখ্যাত যে পদ্য সে বৃত্ত, মাত্রানুসারে রচিত যে পদ্য তাহ জাতি। বৃত্ত আবার সম, অৰ্দ্ধসম, ও বিষম এই তিন নাম ভেদে তিন প্রকার। যে শ্লোকের চারি পদ সমান তাহ সম বৃত্ত। যে শ্লোকের তৃতীয় চরণ আদি চরণের সমান, ও চতুর্থ চরণ দ্বিতীয় চরণের সমান তাহ অৰ্দ্ধসমবৃত্ত, যথা, তারা সব সর্থী গণ । প্রবেশ করিল কামিনীর নিকেতন। এথা কহিছে মদন । শুক মুখে শুনে সারী মুদিয়ে নয়ন ॥ 2 گے۔۔

  • দুষ্ঠাত্ত বা কথার কথাদিতে কখন এক চরণ কখন বা দুই চরণ ব্যবহার করাগিয় থাকে, যথ, “ পড়িলে ভেড়ার শৃঙ্গে ভাঙ্গে হীরার ধর” ।

কিন্তু তিন ৰ অন্য ৰিযুক্ত সংখ্যক চরণের ব্যবহার প্রায় নাই।