পাতা:বাঙ্গলা ব্যাকরণ.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR বাঙ্গলা-ব্যাকরণ । e) { যোগদ্বারা হয়, এবং অণরবী বহুবচনান্ত পদও অবিকল রূপে ব্যবহার করাগিয়াথাকে। o বঙ্গভাষায় চলিত মনুষ্যবাচক পারসী এবং আরবী শব্দের বহুবচন বহুবচনীয় বাঙ্গল বিভক্তি যোগেরদ্বারাই প্রায় হইয় থাকে, যথা, চৌকীদারের, হাকিমের, এবং কখন২ u । যোগের দ্বারা করাগিয়া থাকে, যথা,চৌকিদারান e1, I w, ১৯ হাকিমান Ü حاكما o - আর২ ভাষা হইতে চলিত শব্দের বহুবচনও বাঙ্গলা বিভক্তি যোগ দ্বারা হয় । g d কিন্তু জানা কর্তব্য যে যেসকল শব্দ অবিকল সংস্কৃত নহে, অথবা সংস্কৃত হইয়াও সংস্কৃতের পূর্ববৰ্ত্তি নহে, এমত শব্দের সহিত (অস্থশাব্যতা দোষ জন্য) গণ, বগ, ও সমুহের যোগ প্রায় হয় না, যথা, কামার-গণ, ঘোড়সমূহ, ব্রাহ্মণ-বগ খাইতেছেন, সুশ্রাব্য নহে, কিন্তু কৰ্ম্মকারগণ, ঘোটক সমুহ, ব্রাহ্মণ-বগ ভোজন করিতেছেন স্থশাব্য বটে। যখন মহষ্য পর্যক্রম, স্থূলতা, স্কুল-বুদ্ধিতা, আলস্য ইত্যাদি নিমিত্ত তত্তং গুণবিশিষ্ট পশুবাচক শব্দে ড ক্র হয়,—যথl, নরসিংহ, নর-ব্যাঘ্ৰ, বাঘ, নৃ-কুঞ্জর ; হস্তী, হাতি, মণ্ডিয, ষড় ; পশু, গরু, বলদ, ভেড়া, গাদা—তখন ঐ শব্দ সকলের বহুবচন ব্যক্তিবাচক শব্দের ন্যায় হয়। যখন একাধিক কোন সংখ্যাবাচক শব্দ কোন বিশেষ শব্দের বিশেষণ হয়, তখন ঐ বিশেষ্যের বহুবচনত্ব নিমিত্তে বহুত্ববোধক চিহ্ন যোগের প্রয়োজন নাই (এবং করিলেও শুদ্ধ ও সুশাব্য হয় না) , যেচে স্ত ঐ সংখ্যা সুচক বিশেষণই তাচার বহুত্ববাচক, যথা, দ্বাদশ ব্রাহ্মণ, পাচদোকান, দশজন ভদ্রলোক বলিলেই যথেষ্ট হইল, দ্বাদশ ব্রাহ্মণের, পাচ দোকানসকল, দশজন ভদ্র লোকের লিখা অনাবশ্যক, অসুশ্রাব্য, এবং অশুদ্ধ । কারক । ক্রিয়াদির যোগে বুী অনুরোধে শব্দের যে ৰূপান্তরতা তাহার নাম কারক । • ** সংস্কৃত ব্যাকরণানুসারে বঙ্গ ভাষায় আট কারক হইয়াছে,— যথা, ১ কর্তৃ-কারক ২ কৰ্ম্ম, ৩ করণ : ৪ সম্প্রদান; ৫ অপাদান; ৬ সমন্ধ* ; ৭ অধিকরণ ; ও ৮ সম্বোধন ।

  • সংস্কৃত ব্যাকরণে সম্বন্ধ ও সম্বোধন কারকমধ্যে পরিগণিত নহে। কিন্তু বিবেচনা করিলে পাকতঃ কারকরূপে ব্যবহার করাগিয়াছে; অতএব তাহ ৰাঙ্গলায় স্পষ্টতঃ কারক বলিয়, উল্লেখ ও ব্যবহার করা গেল । • ‘