পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ Տ8ծ . মুয়জমাবাদ র্তাহার অধিকারভুক্ত ছিল, কারণ ৮১৮ হিজরায় (১৪১৫ খৃষ্টাবেী উক্তস্থানে মুদ্রিত র্তাহার নামাঙ্কিত মুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে ১৬ । দক্ষিণবঙ্গে বর্তমান ফরিদপুর তাহার অধিকারভুক্ত ছিল ; কারণ ফতেহাবাদে মুদ্রিত র্তাহার নামাঙ্কিত ৮২১, ৮৩৪ ও৮৪০ হিজরার রজতমুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে । ইহার মধ্যে শেষোক্তবর্ষের মুদ্রাটি সম্ভবতঃ জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহের মৃত্যুর পরে মুদ্রিত হইয়াছিল। ৮৩৪ হিজরায় (১৪৩০ খৃষ্টাব্দে ) তিনি চট্টগ্রাম জয় করিয়াছিলেন। তাহার চট্টগ্রাম-অভিযানের কথা রিয়াজ-উস-সালাতীন প্রমুখ মুসলমান-রচিত ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায় না। উক্তবর্ষে চট্টগ্রামে মুদ্রিত জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহের নামাঙ্কিত একটি মাত্র রজতমুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে, ইহাই তাহার চট্টগ্রাম বিজয়ের একমাত্র প্রমাণ ৬৮ । জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহের রাজ্যকালের কোনও শিলালিপি অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই । রিয়াজ-উস-সালাতীন অনুসারে তিনি গৌড়ে একটি মসজিদ, দুইটি জলাশয় ও একটি পান্থশালা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । ইহার মধ্যে একটিও অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই । কথিত আছে যে, তাহার রাজাকালে পাণ্ডুয়া জনপরিপূর্ণ বিস্তৃত জনপদে পরিণত হইয়াছিল এবং বাঙ্গালা দেশের প্রাচীন রাজধানী গোঁড় পুনরায় জনসঙ্কুল হইয়া উঠিতেছিল**। গোলাম হোসেন বলেন যে, পাণ্ডুয়ার একলাখী নামক হৰ্ম্ম্য জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহ তাহার পুত্র ও পত্নীর সমাধি। রাভেনশ ( Ravenshaw ) বলিয়াছেন যে, একলাখী সুলতান গিয়াস্-উদ্দীন, তাহার পত্নী ও পুত্রবধুর সমাধি বাঙ্গলাদেশে গিয়াস্-উদ্দীন উপাধীধারী তিনজন মুসলমান রাজা ছিলেন ; বল্বনের প্রপৌত্র গিয়াস্-উদ্দীন বহদির শাহ বন্দীরূপে দিল্লীতে প্রেরিত হইয়াছিলেন, সিকন্দর শাহের পুত্র গিয়াস্-উদ্দীন আজম শাহ ঢাকা জিলায় মগরাপাড়া গ্রামে সমাহিত আছেন এবং হুসেন শাহের অপর পুত্র গিয়াস-উদ্দীন মহমুদ শাহ ভাগলপুরের নিকটে কহলগাওয়ে দেহত্যাগ করিয়াছিলেন। সুতরাং একলাখী জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহের সমাধি .102 .Ibid, No (دهانه) (wo) Ibid, p. 163, Nos. 104-7. (w) Ibid, No. 110. (৬৯) রিয়াজ-উস-সালাতীন, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ১১৮ । (**) Ravenshaw's Gaur, its ruins and Inscriptions, p. 58.