পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sషిసి বাঙ্গালার ইতিহাস করিয়া পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। হোসেন শাহ আসামরাজের সমতলভূমি অধিকার করিয়া গৌড়ে প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন । শাহজাদা দানিয়াল সসৈন্য আসামে অবস্থিতি করিতেছিলেন ৬৩ ৷ এই সময়ে, সুহঙ্গ মুঙ্গ আসামের অধিপতি ছিলেন •• । বুরঞ্জীসমূহ অনুসারে তাহার রাজ্যকালে আসাম সৰ্ব্বপ্রথমে মুসলমান সেনা কর্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল ৬৫ % মহম্মদ বখতিয়ার, য়ুজ বক্‌ বা সিকন্দর শাহের আসাম আক্রমণের উল্লেখ পৰ্য্যন্ত কোন বুরঙ্গীতে পাওয়া যায় না। রিয়াজ-উস-সালাতীন ও তারিখংফতে-ই-আশাম অনুসারে দানিয়াল বর্ষাকাল পর্যন্ত সমতলভূমির অধিকারী ছিলেন। বর্ষাগমে আসামরাজ মুসলমান সেনা আক্রমণ করিয়া সসৈন্য দানিয়ালকে পরাজিত ও নিহত করিয়াছিলেন। মুসলমান সেনা যতবার আহম্রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিল, ততবারই এইরূপে পরাজিত হইয়াছিল। আহম্ ভাষায় লিখিত বুরঞ্জীসমূহ অনুসারে হোসেন শাহের রাজ্যকালে মুসলমান জাতি সৰ্ব্বপ্রথমে আহম্রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিল এবং এই অভিযানের মুসলমান সেনাপতির নাম “বড় উজীর” । আহম্সেনা মুসলমান সেনার সম্মুখ ও পাশ্ব’দেশ আক্রমণ করিয়া তাহাদিগকে পরাজিত করিয়াছিল। আহমূ-সেনাপতি মুসলমানদিগকে বুরাই নদীতীর পর্য্যন্ত অনুসরণ করিয়া চল্লিশটি অশ্ব ও কুড়ি হইতে চল্লিশটি কামান অধিকার করিয়া লইয়াছিলেন। বুরঞ্জীসমূহ অনুসারে ১৫২৭ খৃষ্টাব্দে মুসলমান সেনাপতি “বড় উজীর” আহম্রাজ কর্তৃক পরাজিত হইয়াছিলেন শুভ। এই জন্যই আসামের ইতিহাসকার গেট (Sri Edward Gait) লিপিবদ্ধ করিয়াছেন যে, কামতাপুর ধ্বংসের অন্ততঃ বিংশতিবর্ষ পরে হোসেন শাহ আহম্রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন । কিন্তু ইহা সম্ভব নহে, কারণ মালদহে আবিষ্কৃত ৯০৭ হিজরার (১৫০২ খৃষ্টাব্দের) শিলালিপি অনুসারে হোসেন শাহ তৎপূৰ্ব্বে কামরূপ ও কামত বিজয় করিয়াছিলেন, সুতরাং তৎপূর্বে অন্ততঃ একবার কামরূপ আক্রান্ত হইয়াছিল। ইহার পরে হোসেন শাহের পুত্ৰ নাসির-উদ্দীন নসরৎ শাহের রাজাকালে (*) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol, XLR. 1972, pt. I, p. 79. - (os) Gait's History of Assam, p. 83. (**) Ibid, p. 87. (*) Ibid, p. 88. w -