পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

é९ বাক্ষালার ইতিহাস করিয়া লক্ষ্মণাবতী যাত্রা করিলেন । আউৰে উপস্থিত হইয়া সম্রাটু ইলক্ষ নূতন সেনা সংগ্ৰহ করিলেন এবং বহু লোক একত্র করিয়া সরযু পার হইলেন। বলবেন বর্ষাকালে যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন সেইজন্য পথে বহু বিলম্ব হইয়াছিল। সম্রাটের আগমন-সংবাদ শ্রবণ করিয়া তোগ্রল আত্মীয় স্বজনও ধনরত্বের সহিত লক্ষ্মণাবতী ত্যাগ করিয়াছিলেন । তাহার সহিত বহু হস্তী ও সেনা গমন করিয়াছিল। বলবেন যখন লক্ষ্মণাবতী হইতে ত্রিশ বাচল্লিশ ক্রোশ দূরে অাছেন, তখন তোগ্রল জাজনগর অভিমুখে যাত্রা করিতেছেন । তোগ্রল র্তাহার সঙ্গীদিগকে বলিয়াছিলেন যে, সম্রাট অধিকদিন লক্ষ্মণাবতীতে অবস্থান করিতে পরিবেন না । তিনি প্রত্যাবর্তন করিলে তোগ্রল জাজনগর লুণ্ঠন করিয়া স্বচ্ছন্দে লক্ষ্মণাবতীতে ফিরিয়া যাইবেন, কারণ সম্রাটের কোনও সেনাপতি র্তাহার গতিরোধ করিতে সমর্থ হইবে না । লক্ষ্মণাবতীতে উপস্থিত হইয়া বলবেন বাণীর মাতামহ, সিপাহশালার হস্যম্-উদ্দীনকে লক্ষ্মণাবতীর শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়াছিলেন এবং নগরে দুই একদিন অপেক্ষা করিয়া জাজনগর অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণাবতী পরিত্যাগ করিয়া সম্রাট অল্প সময়ের মধ্যে সুবর্ণ গ্রামে উপস্থিত হইয়াছিলেন”। তোগ্রল জাজনগর অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিলেন, তাহার অনুসরণ করিতে গিয়া বলবেন কিরূপে সুবর্ণগ্রামে পৌঁছিলেন তাহা একটি ঐতিহাসিক সমস্যা । এই সমস্যার মীমাংসা করিতে অসমর্থ হইয়া বাণী-রচিত তারিখ-ই-ফিরোজশাহী অনুবাদক সার হেনরী ইলিয়ট (Sir Henry Elliot) বলেন যে, জাজনগর ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বদিকে অবস্থিত এবং ইহার বর্তমান নাম ত্রিপুরা’ । ত্রিপুরার প্রাচীন নাম ষে জাজনগর, তাহ অপর কোন বিশ্বাসযোগ্য ঐতিহাসিক গ্রন্থে পাওয়া যায় না । বলবেন তোগ্রলের সন্ধানেজাজনগরে না গিয়া সুবর্ণগ্রামে উপস্থিত হইয়াছিলেন বলিয়া ব্ৰহ্মপুত্র নদের পূর্বদিকে দ্বিতীয় জাজনগরের অস্তিত্ব কল্পনা করিবার প্রয়োজন নাই । যে উদ্দেশ্বে বলবেন সুবর্ণগ্রামে গিয়াছিলেন, তাহ বাণীর গ্রন্থে স্পষ্ট লিখিত আছে। পরাজিত হইয়া তোগ্রল যাহাতে জলপথে পলায়ন করিতে না পারেন, সেইজন্য দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গের জলপথ সমূহের অধীশ্বরের সহিত লুৰ মিতক নাম ন দিছিল। সুবর্ণগ্রামের রাজা (a8) Ibid, pp. 115-16. (**) Ibid, pp. 112-13, Note 2.