পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A to বাঙ্গালী ভাষা ও সাহিত্য । ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতে নির্দিষ্ট ব্যবসায়ে নির্লিপ্ত থাকিতে পারেন না, তথাপি সাধারণ্যে ঐ শ্রেণীস্থ লোকের উপর প্রাচীন ও নব্য, উভয় তন্ত্রেরই কৃতবিদ্য বিজ্ঞলোকদিগের অদ্যাপি বিলক্ষণ গৌরববুদ্ধি আছে, যেহেতু ভঁাহারা আপনাদিগের মধ্যে একদল ঐ রূপ মহেচছু লোক আছেন, এজন্য ভিন্নজাতীয়দিগের নিকট গর্ব করিয়া থাকেন । কিন্তু পাঠকগণ দেখুন, হিন্দুজাতির গৌরবস্থল সেই ব্ৰাহ্মণপণ্ডিত মহাশয়দিগের প্ৰতি টেকচাদবাবু কিরূপ বিজ্ঞোচিত বাক্য প্রয়োগ করিয়াছেন।” পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন তৎপরে বলিতেছেন, “কেবল ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের উপর কেন, ব্ৰাহ্মণজাতির প্রতি টেকচাদবাবুর কিছু বিদ্বেষ আছে বোধ হয়, যেহেতু তিনি আগড়পাড়াস্থ ব্ৰাহ্মণপণ্ডিত-গোষ্ঠীর বর্ণনায় লিখিয়াছেন, * বামুনে বুদ্ধি প্ৰায় বড় মোটা, সকল সময়ে সব কথা শুনিয়া বুঝিতে পারে না, ন্যায়শাস্ত্রের ফেঁকুড়ি পড়িয়া কেবল ন্যায়শাস্ত্রীয় বুদ্ধি হয় ইত্যাদি ”—এক্ষণে টেকচাদবাবুর প্রতি জিজ্ঞাস্য এই, ন্যায়শাস্ত্ৰ বোঝা কি মোটা বুদ্ধির কৰ্ম্ম ? এপৰ্য্যন্ত এই মোটা বুদ্ধির ব্ৰাহ্মণ ভিন্ন কয়জন সরুবুদ্ধি ইতরজাতীয় লোক ন্যায়শাস্ত্ৰ বুঝিতে পারিয়াছেন ? এদেশে ব্ৰাহ্মণেরাই চিরকাল শাস্ত্ৰচৰ্চা ও বুদ্ধির পরিচালনা করিয়াছেন। অতএব তঁহাদের সন্তানেরা সাধারণ্যে অপরিশীলিত বুদ্ধি ও অন্যান্য জাতীয়দিগের সন্তানগণ অপেক্ষা অধিক, মোটা বুদ্ধি হইবেন, তাহার সম্ভব নয়।” পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্ন যাহা বলিয়াছেন, তাহা অতি যথার্থ। কিন্তু শ্লেষাত্মক গদ্যকাব্য-প্ৰণেতারা কত কি বলিয়া থাকেন, তাহা খণ্ডন