পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ ৬ । শারীরিক নিয়ম ৮ স্নের ফল । প্রাণীর বিষয়েও এ নিয়মের কিছুমাত্র ইতর বিশেষ নাই। মনুষ্যেরা কি এ নিয়ম প্রতিপালন করিতে ছেন ? পালন করা দূরে থাকুক, iাহার একাল পৰ্য্যন্ত তাহার সত্তাও স্পষ্ট প্রতীতি করিতে পারেন। নাই। যদিই অস্পষ্টরপে । জ্ঞাত হইয়া থাকেন, তথাপি প্রতিপালনের অবখ্যকত্ত সম্যক হদয়ঙ্গম । করিতে সমর্থ হন নাই । কত কত অপ-বয়স্ক, সুৰূর্বল, রোগাক্রান্ত, ও জরাগ্রস্ত ব্যক্তি এ নিয়ম অবহেলন পূৰ্বক ববাহ করিয়া ক্ষীণজীবী সন্তান উৎপাদন করে। তাহারা কি নির্বোধ ! তা গরা একবার ভাবে না, যে তাহাদের সন্তানেরাও পৈতৃক ও মাতৃক দোষের অধিকারী হইবে, রোগাহ ও নিস্তেজ শরীর প্রাপ্ত হইয়া চিরজীবন অশেষ যন্ত্ৰণা ভোগ করিবে, ও অচিরৎ কাল গ্রাসে পতিত হইবে। কেবল মূঢ়ত ও নিকু প্রবৃত্তির প্রাবল্য ইহার মূলীভূত কায়ণ । বিবেচনা করিয়া দেখিলে, যাহারা ঈশ্বরের নিরমে অশ্রদ্ধা করে, ও তিনি ঐ নিয়ম লঙঘনের প্রতিফল । স্বরূপ দুঃখ নিয়োগ করিয়া তত্ত্বার মনুষ্যের বিবাহ সংস্থার বিষয়ে যেরূপ বিধি ও উপদেশ প্রদান করি য়াছেন, তাহাও অবহেলন করে, তাহাদের হইতেই এমত সকল ব্যাপার সম্ভাবিত হয়। । অজ্ঞান কাম ও লোতই এমত অবৈধ পাণিগ্রহণের প্রধান প্রবর্তক। সন্তানের ক্ষীণতা ও যাতনা এবং পিতা মাতার উৎকণ্ঠ৷ ও শোক এই অকৰ্ত্তব্য কর্মের সমুচিত ফল । এই দুর্ভাগ্য ৰাঙ্গালা দেশ এ বিষয়ের সম্পূর্ণ উদাহরণ-স্থল । যে .