বিক্রমোর্কশী । २> কাশীরাজপুত্রী দেবী ঔশীনরী, চেট ও অস্তান্ত পরিজনের প্রবেশ । ঔশী –ওলো নিপুণিকে ! মানবকের সঙ্গে মহারাজ লতাগৃহে বসে আছেন সত্যি কি তুই দেখেচিস্ ? দাসী –আমি কি কখন পূৰ্ব্বে দেবীর কাছে অলীক কথা বলেছি ? দেবী -আচ্ছা আমি এই লতার আড়াল থেকে শুনি ঔদের মধ্যে কি গোপনীয় কথাবার্তা হচ্চে। আর তাহলে আমি জানতে পারব তোব কথা সত্যি কি না । দাসী –যে আজ্ঞে । - ঔণী ।—(পরিক্রমণ ও সম্মুখে অবলোকন) নিপুণিকে ! নুতন ছেড়া কাপড়ের মত দক্ষিণের বাতাসে কি ওটা এই দিকে উড়ে এল ? দাসী –(চিন্তা করিয়া ) এ নিশ্চয় একটা ভূৰ্জপত্র। বাতাসে ওলটপালট খাচ্চে, তাতে অক্ষরের মত কি যেন লেখা দেখা যাচ্চে। আমোলো ! একি ! দেবীর নূপুরে এসে ঠেক্ল বে। আচ্ছা পত্রটি পড়ে দেখুন না । দেবী –আগে তুই পড়ে দেখ কি লেখা আছে—যদি কোন বিরুদ্ধ কথা না থাকে তো শুনব । দাসী –(তথা করিয়া ) লোকে যা বলাবলি করে এ যে দেখ চি তাই । বোধ হচ্চে এটা একটা কবিতার শ্লোক উৰ্ব্বশী রাজাকে লিখেছেন, মানবক ঠাকুরের অসাবধানতায় সেটা আমাদের হাতে এসে পড়েচে । দাসী – পত্র পাঠ ) দেবী — গুলো ! এই উপহারটি নিয়ে, চল সেই অঙ্গরা-কামুকের সঙ্গে দেখা করিগে । (পরিজন সহিত লতা-গৃহে গমন )
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৩৬
অবয়ব