পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

do <ම්> বিবৰ্ণ, কাশীর গঙ্গার মতো স্বচ্ছ নয়। তার ধারে দাড়ালে নিঃশ্বাস বন্ধ হ’য়ে আসে ; বাতাস তো নেই, আছে ধোয়া । বাপুসা চোখে দ্ব’ ধারের দৃশ্য দেখি, শিপিয়া-কালো ইটকাঠের স্তুপ, তাদের গায় বড় বড় হরফে বিজলী আলোর বিজ্ঞাপন—“মদ” কিম্বা “সিগারেটু” কিম্বা “খবরের কাগজ”। ঐ তিনটে তিন রকমের বিষ এদেশে প্রচুর বিক্ৰী হয়। লণ্ডন সহর গোটা সাত আট কলকাতার সমান। আয়তন ছাড়া নতুন কিছু দেখবার নেই। সেই ট্রাম সেই বাস সেই ট্যাক্সি সেই ট্ৰেণ, সেই গলি সেই বস্তি সেই মাঠ c'sR eftir | etSR gd a, FINT superlative, সমস্তই অতিকায়। লণ্ডনের দীনতম অঞ্চলগুলিরও প্ৰত্যেকটি যেন এক একটি দক্ষিণ কলকাতা, ঐশ্বৰ্য্যে অতটা না হোক পরিচ্ছন্নতায় অতটা। এত বড় সহর, কিন্তু সেই অনুপাতে কোলাহলমুখর নয়। অবশ্য কলের কর্কশ আওয়াজে বাড়ীর ভিৎ পৰ্য্যন্ত নড়ে এবং মোটরের দাপাদাপিতে রাস্তাগুলোর বুক দুড়দুড় করে, কিন্তু জনতার মুখে কথা নেই। ভীড়ের মধ্যে ফিস ফিস করলেও শোনা যায়। ফেরিওয়ালার রকমারি ইহঁক নেই, তার চলন্ত বিজ্ঞাপন প’ড়ে বুঝতে হয়। সে কি বেচিতে চায় ও কত দামে। দুধওয়ালা ঘরে ঘরে দুধ বিলি ক’রে যাবার সময় এমন সুরে "milk” বলে যে, শুনলে মনে হয় কোকিলের “কু-উ”, ডাক-পিওন কাঠ-ঠোকরার মতো দরজায় দুই ঠোকর দিলে বুঝতে হয় দরকারি চিঠি এসেছে, রুটীওয়ালা মাংসওয়ালা । DBDLLDLBB BDBD sLDBDDD DDuSzYS DBuBS আছে, সেই সংকেত শুনলে বন্ধ দুয়ার আপনি খুলে যায়, অর্থাৎ বাড়ীর বি দরজা খুলে দেয়। এক কথায় বলতে গেলে এখানে হাটের মধ্যে তেমন হাঁটুগোল নেই, যেমন BDDLB BEB DBB BDBS SDD sH DYD D স্বাভাবিক, না। সুন্দর ? সুর ক’রে “দই নেবে গা, মিষ্টি দই।” হাকতে হাকতে চুড়ি বাজিয়ে যাওয়া সুন্দর, না পিঠে বিজ্ঞাপন এটি বোবার মতো পায়চারি করা সুন্দর ? এদেশে নিরক্ষরতা নেই। ব’লে এদের কানের ক্লেশ কমেছে, কিন্তু চোখের জ্বালা ? বিজ্ঞাপন ওয়ালারা যেন পণ ক’রে বসেছে মানুষের চোখে আঙুল গুজে বোঝাবে যে বিধাতা [ cश्रोश्च মানুষকে চোখ দিয়েছেন দোকানদারের ঢাকিপেটা চোখ পেতে শুনতে। লণ্ডনের পথে পথে রথযাত্রার ভীড়, কিন্তু ভীড়ের মধ্যেও শৃঙ্খলা আছে। পুলিশের বন্দোবস্ত অতুলনীয়, কিন্তু কথা হচ্ছে, পুলিশের নয়, জনতার। শৃঙ্খলা মেনে চলা যেন এদের দ্বিতীয় প্ৰকৃতি। রাস্তায় কিছু একটা ঘটেছে, কৌতুহলীরা দাড়িয়ে দেখছে, লাইনের পেছনে লাইন, যে লোকটা সকলের শেষ এসে পৌছল। সে লোকটা মাত্র দুটো কনুয়ের জোরে সকলের সামনে গিয়ে দাড়াচ্ছে না, যে আগে এসেছে সে আগে, যে পরে এসেছে সে তার পিছনে কিম্বা পাশে। রেলের টিকিটু করতে হবে, ঠেলা ঠেলি ধস্তাধস্তি ইতর ভাষায় গালাগালি কোনোটাই কোনো কাজে লাগবে না ; যে আগে আসবে সে আগে দাড়াবে, তার পেছনে তার পরের জন, তার পেছনে তার পরের। ড্রিলের ভাষায় যাকে file বলে কিম্বা চলতি ভাষায় যাকে queue বলে তেমনি ক’রে সকলে দাড়ালে পরে একজনের পর একজন টিকিটু নেবে; সিড়ি দিয়ে একে একে ট্রেণের কাছে যাবে, ট্রেণের থেকে যাদের নামবার কথা তারা নামলে পরে ট্ৰেণে যাদের ওঠাবার কথা তারা উঠবে এবং জায়গা থাকে তো আগে মেয়ের বসবে, না থাকে তো যারা আগে থেকে ব’সে আসছে তারা উঠে মেয়েদের জায়গা দিয়ে নিজেরা দাড়াবে। এইটুকু করতে আমাদের দেশে হাত পা মুখ কান সব ক’টা অঙ্গের কসরৎ হ’য়ে যায়, বিশেষ ক’রে কানের। এদেশে কিন্তু সমস্ত নিঃশব্দে সারা হয়। ট্রেণে চ’ড়ে হনুমানজীর ভজন কিম্বা পটলার মা’র পুরাবৃত্ত শুনে বধির হতে হয় না। প্ৰতিবেশীর উপকার করতে এগিয়ে না। আসুক অপকার করতে এগিয়ে যায় না, এই হচ্ছে। এ দেশের লোকের uBuBDD S SLB DB DBDBDDD BDBBDBD D BBDL পরের আরামটুিকু কাড়তে চায় না। কিন্তু এদের এই নিঃশব্দ প্রকৃতি আমার নিছক ভালো লাগেনি। ট্ৰেণে পাশাপাশি বসতে না বসতেই দেশের মতো কেউ গায়ে পড়ে পিতৃপিতামহের নাম শুধায় না, বিয়ে হয়েছে কি না, ক’টি ছেলেমেয়ে, কত মাইনে, কত উপরি পাওনা ইত্যাদি খুটিয়ে জেরা ক’রে উত্যক্ত করে না। ;-কিন্তু ঐ অনাহুত উপদ্রবের