পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৬৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলের দরকার। , বিনা প্ৰয়োজনে নিজের মনকে কথা বলাবার সেই প্রয়োজন, সেটাতে মন আপনি ধারাতেই আপনাকে অভিষিক্ত করে । জীবনযাত্রার পরিচিত ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে মন আজ যা”-তা” ভাববার সময় পেলো। তাই ভেবেছি কোনো সম্পাদকী বৈঠক স্মরণ ক’রে প্রবন্ধ আওড়াব না, চিঠি লিখব তোমাকে। অর্থাৎ পাত পেড়ে ভোজ দেওয়া তাকে বলা চলবেন, সে হবে গাছতলায় দাড়িয়ে হাওয়ায় পড়ে যাওয়া ফল আচলে ভ'রে দেওয়া। তার কিছু পাকা ধরেনি। তার কিছু রাখলেও চলে, কিছু ফেলে দিলেও নালিশ চলবে না। সেই ভাবেই চিঠি লিখতে নুরু করেছিলুম। কিন্তু আকাশের আলো দিলে মুখ ঢাকা । বৈঠকখানার আসর বন্ধ হ’য়ে গেলে ফরাসি বাতি নিবিয়ে দিয়ে যেমন ঝাড়লন্ঠনে ময়লা রঙের ঘেরাটোপ পরিয়ে দেয়, দুলোকের ফরাস সেই কাণ্ডটা করলে ; একটা ফিকে ধোঁয়াটে রঙের আবরণ দিয়ে আকাশ-সভার তৈজসপত্র দিলে মুড়ে। এই অবস্থায় আমার মন তার হালকা কলমের খেলা। আপনিই বন্ধ ক’রে দেয়। বকুনির কুলিহারা ঝরণা বাক্যের নদী হ’য়ে কখন এক সময় গভীর খাদে চলতে আরম্ভ করে, তখন তার চলাটা কেবলমাত্র সুৰ্য্যের আলোয় কলধ্বনির নুপুর বাজানোয় জন্যে নয়, একটা কোন লক্ষ্যে পৌছবার সাধনায়। আনমনা সাহিত্য তখন লোকালয়ের মাঝখানে এসে পড়ে সমনস্ক হ’য়ে ওঠে। তখন বাণীকে অনেক বেশী অতিক্রম ক’রে ভাবনাগুলো মাথা তুলে দাড়ায়। डैनियान चांदछ, न 6ना वकृधनिडा न विषांडा,- তিনি ভালোবাসেন, তিনি সৃষ্টি করেন, আবার তিনিই विषान करबन। रॉड कब्रांश नश्व चांनप्लब cथवाप्न, বিধান করায় চিন্তা আছে। যাকে খাষ সাহিত্য বলে সেটা হ’ল সেই সৃষ্টিকৰ্ত্তার এলেকায়, সেটা কেবল আপন মনে। যদি কোন হিসাবী লোক অষ্টাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, “टकन हैं कब्र रग डिनि अवांद प्रन, “आशांब्र भूनि' ! cगरे भूगिरे नांनांब्राड नांनांब्रटन आनंनांडरे यांनॅनेि

[কাৰ্ত্তিক পৰ্যাপ্ত হয়ে ওঠে। পদ্মফুলকে যদি জিজ্ঞাসা করে, “তুমি কেন হ’লে ?” সে বলে, “আমি হবার জন্যেই হলুম।” খাটি সাহিত্যেরও সেই একটি মাত্র জবাব । অর্থাৎ স্থষ্টির একটা দিক আছে যেটা হচ্ছে সৃষ্টিকৰ্ত্তার বিশুদ্ধ বকুনি। সেদিক থেকে এমনো বলা যেতে পারে, তিনি আমাকে চিঠি লিখছেন। আমার কোন চিঠির জবাবে নয়, তার আপনার বলতে ইচ্ছে হয়েচে বলে ; কাউকে তো বলা চাই। অনেকেই মন দিয়ে শোনে না, vārt ke a cik ti kvīt”, এতো সম্পত্তির দলিল নয়। সারবান থাকে মাটির গর্ভে, সোনার খনিতে, সে নেই ফুলের বাগানে, নেই সে উদয়দিগন্তে মেঘের মেলায়। আমি একটা গৰ্ব্ব ক’রে থাকি, ঐ চিঠি-লিখিয়ের চিঠি পড়তে পারাৎপক্ষে কখনো ভুলিনে। विश्व-वकूमी यथन-उथन अभि खान थांकि । डाटड विश्वव्रকাজের ক্ষতি হয়েচে, আর যারা আমাকে দলে ভিড়িয়ে কাজে লাগাতে চায় তাদের কাছ থেকে নিন্দাও শুনেচি ; কিন্তু আমার এই দশা । অথচ মুস্কিল হয়েছে এই যে, বিধাতাও আমাকে ছাড়েন নি। সৃষ্টিকৰ্ত্তার লীলাঘর থেকে বিধাতার কারখানাঘর পৰ্য্যন্ত যে রাস্তাটা গেছে সে রাস্তায় দুই প্ৰান্তেই আমার আনাগোনার কামাই নেই। এই দোটানায় পড়ে আমি একটি কথা শিখেছি। যিনি সৃষ্টিকৰ্ত্তা স এব। বিধাতা, সেই জন্যেই তার সৃষ্টি ও বিধান এক হ’য়ে মিশেচে, তার লীলা ও কাজ এই দুইয়ের মধ্যে একান্ত বিভাগ পাওয়া যায় না। তার সকল কৰ্ম্মই কারুকৰ্ম্ম, ছুটতে খাটুনীতে গড়া ; কৰ্ম্মের রূঢ় রূপের উপর সৌন্দৰ্য্যের আক্ৰ টেনে দিতে তার আলাভ নেই। কৰ্ম্মকে তিনি লজ্জা দেননি। দেহের মধ্যে যন্ত্রের ব্যবস্থা-কৌশল আছে কিন্তু তাকে আবৃত ক’রে আছে তার সুষমা-সৌষ্ঠব, বন্তত সেইটেই প্ৰকাশমান । মানুষকেও তিনি সৃষ্টি করবার অধিকার দিয়েচেন ; এইটেই তার সব চেয়ে বড়ো অধিকার। মানুষ যেখানেই আপনার কৰ্ম্মের গৌরব ৰোধ করেচে। সেখানেই কৰ্ম্মকে সুন্দর করবার চেষ্টা করেচে। তার ঘরকে বানাতে চায়