বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty दिअभू-दमरुg । শিক্ষিতা মহিলাগণের অন্তঃকরণ শারদী পূৰ্ণিমার নিশা সদৃশ শোভমান ও নিৰ্ম্মল দিবসের ন্যায় আলোকিত । অশিক্ষিতা স্ত্রীলোকেরা, কুসংস্কারের বাধ্য হইয়া, ভূতপ্ৰেতাদি নানাপ্রকার আশঙ্কায় প্রতিপদক্ষেপণে ভয়ে অভিভূত হয়; শিক্ষিত রমণীগণ তাহা দেখিয়া হাস্য করেন । অশিক্ষিত রমণীগণ, যেমন রসে মীন নষ্ট হয়, তদ্রুপ পরপ্রলোভনে আপনার নষ্ট হইয়া থাকে ; দণ্ড ও ভূত ভয় দেখাইয়া অনেকে যেমন ইহাদিগকে কলঙ্কিত করে, সেইরূপ আবার অবাস্তবিক ধৰ্ম্মোপদেশ দিয়াও ঘোর কলুষে নিমজ্জন এবং অনন্ত নরকে নিক্ষেপ করিয়া থাকে। শিক্ষিতা মহিলাগণ সর্বসাক্ষিণস্বরূপ অন্তৰ্যামী ঈশ্বর ব্যতীত কাহাকেও ভয় করেন না, সুতরাং ইন্দ্ৰিয়পরায়ণ অধাৰ্ম্মিকেরা মৃত্যু ও দণ্ড ভয় দেখাইয়া ইহঁদিগের নিকট যেমন কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে না, সেইরূপ অর্থ কি ধৰ্ম্ম-প্ৰলোভনেও অভীষ্ট সিদ্ধি করিতে সমর্থ হয় না। শ্ৰী রামদায়িতা সীতা যদি অশিক্ষিত হইতেন, তবে কি রাবণের ভয়ানক দণ্ডভয়ে ও অপরিহাৰ্য্য প্রলোভনে। তিনি আপন দৃঢ়তা ও পতিভক্তি আচল রাখিতে পারিতেন ? যাহারা দময়ন্তী ও সাবিত্রীর চরিত্র পাঠ করিয়াছেন, তাহারা শিক্ষিতা মহিলাগণের অন্তঃকরণ কতদূর বলবান তাহা বিলক্ষণ বুঝিয়াছেন। অশিক্ষিত রমণীরা সন্তান‘গণকে পাপ পথে পদাৰ্পণ করিতে দেখিলেও শিক্ষভাবে ও অবিহিত স্নেহের অনুরোধে বাধা দিতে পারে না। তাহাতে সন্তানগণের মানস ক্ষেত্রে যে সকল কুসংস্কার ও পাপাকুর বন্ধমূল হয়,