বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। s দুলতা মুখ বঁকাইয়া কি কথায় রাণীর মন ফিরাইবে, এই চিন্তাই করিতে লাগিল। এবং কিয়ৎক্ষণ মৌনবতী থাকিয়া কহিল, ওলো দুৰ্জাময়ি! একটী বিচার করিয়া দেখ, বিজয়চন্দ্ৰ রাজা হইলে তোমার কি দশা হইবে। যদি ঈশ্বরেচ্ছায় তোমার দুই একটা পুত্র হয়, তাহারা বিজয়-বসন্তের কৃতদাস হইয়া থাকিবে । বিশেষতঃ সাপিনীর সন্তানকে দুগ্ধ দিয়া পালন করিলে কালে আপন ধৰ্ম্মই প্রকাশ করে। কণ্টকর্তৃক্ষ উদ্যানে । রোপন করিলে সকল উদ্যান কণ্টকময় হয়। যেমন একগাছের বাকল অন্য গাছে লাগে না, সেই মত সতিনীর পুত্ৰও কখন ङ° श । । বৎস সকল ! দুঃশীল রমণীগণের কথার ছন্দোবন্ধ বিবেচনা করা যোগীজনেরও দুঃসাধ্য। একে স্ত্ৰীজাতি, তাহাতে অল্পবয়স্ক, সুতরাং মহিষী দুলতার দুষ্ট অভিপ্ৰায় বুঝিতে না পারিয়া কহিলেন, দুলতে ! আমি এক্ষণে বুঝিলাম বিজয়-বসন্ত আমার পুত্ৰ নহে, শত্রু। যাহাতে শীঘ্ৰ বিনাশ পায়, তাহার উপায় কর । দুলতা হাস্য করিয়া কহিল, হঁ বাছা ! এখন পথে এস। বুঝেছি ত, তাহারা তোমার শত্ৰু কি না ? আমি কাহারও মন্দ করি না, সকলেরই হিত করিতেই আমার চিরকালটা গেল। আর ব্যস্ত হইতে হইবে না, আমার কথা শুন, সত্বরেই ইষ্টসিদ্ধি হইবে । শান্ত বিজয়-বসন্তকে অন্তঃপুরে আনিতে গিয়াছে। তাহারা আসিয়া যখন প্ৰণাম করিবে তুমি সম্ভাষণ করিও না, কাজেই অন্তরের শত্রু অন্তর হইবে। পরে অঙ্গভরণ পরিত্যাগ