বিদায়-আরতি
ইন্দ্রদেবের মুকুট-বোঝা তারণ ক’রে যে
তারক নামে আপ্নাকে হায় জাহির করেছে,
তাগ ক’রে তায় বাণ হানে কে শৌর্য্য-অবতার?
গ্রসন-ত্রসন-জন্ত-মহিষ আরস্তে চীৎকার!
ছয়-মায়েরি তুলাল ও যে বালক ষড়ানন।
অসুর সাথে শিশুর লড়াই! অপূর্ব্ব এই রণ!
পল্টনে কার হানে কুমার শক্তি শতঘ্নী—
লক্ষ নাগের জিহ্বা যেন উগারে অগ্নি!
বধির ক’রে হাজার বজ্র গর্জ্জে যুগপৎ,...
টুট্ল বুঝি তিমির-কারা, দৈত্য হ’ল বধ!...
কুড়িয়ে-পাওয়া কুমার মোদের অসুরজয়ী, ভাই,
জয়ধ্বনি কর্তে তোরা কাঁদিস কেন, ছাই!
ছোঁয়াচে এই সুখের কান্না... কাঁদতে জেনেছি...
অম্বা! দুলা।! নিবঘ্নী! বোন্ স্বপ্ন দেখেছি।
তোলাপাড়া কর্তে মনে পদ্মযোনির বাণী
কখন যে হায় ঘুমিয়ে গেছি কিছুই নাহি জানি।
ভোরের আলো, দ্যাখ্ সুমেরুর গায় কি লেগেছে?
ছয় জননীর মেহের নীড়ে কুমার জেগেছে?
উষার হাসি মলিন!...মেঘে সূর্য্য ডুবে যায়—
এ যে আমার স্বপ্নে দ্যাখা, স্বপ্নে দ্যাখা হয়!
স্বপন আমার ফল্তে সুরু হয়েছে মন কয়,
ভোরের স্বপন সফল হবে হলে রে নিশ্চয়।
ক্লেশের এবার শেষ হবে রে শঙ্কা ফুরাবে।
ছয় জননীর ভাগের ছেলে ভাগ্য ফিরাবে।
অপরাজের রাজমহিমায় ছাই দেবে এ ঠিক—
আনন্দ ছয় কৃত্তিকার এই অনিন্দ্য কীর্ত্তিক।