পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

not appreciate cowardice. কিন্তু অরবিন্দ এলেন এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে। বিপিনচন্দ্র লিখেছিলেন যে গুপ্তহত্যা ষড়যন্ত্র শুধু রাজ-অত্যাচারই ডেকে আনে। আর অরযিন্দ ঠিক উল্টা লিখলেন—wanted more repression বা আরও অত্যাচার চাই।

 সাত বৎসর বয়সে অরবিন্দ বিলেত যান। কেমব্রিজে থাকবার সময় কুড়ি বৎসর বয়সেই বিপ্লব ও বোন! তৈরী পরিকল্পনা তাঁর মাথায় আসে। ২১ ধৎসর বয়সে দেশে ফিরেই তিনি তখনকার বুর্জোয়া বংগ্রেসের নিবেদননীতির তীব্র সমালোচনা শুরু করে দেন। তিনি ফরাসী বিপ্লবের কথা বললেন জনসাধারণকে—প্রোলিটারিয়েটকে কংগ্রেসের মধ্যে আনার কথা বললেন। অরবিন্দের দাবী সোজা—পূর্ণ স্বাধীনতা চাই। ভারতবর্ষ ভারতবাসীর জন্যেই! এই দাবী ১৯৪২ সালের কংগ্রেসের ‘ভারত ছাড়’ দাবীরই নামান্তর মাত্র। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে কংগ্রেস ধর্ম-নিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী কিন্তু অরবিন্দ একাধারে হিন্দু ও জাতীয়তাবাদী। বঙ্কিমচন্দ্র যে মাতৃভূমিকে বন্দেমাতরম্ বলে পূজো করলেন অরবিন্দও সেই দেশকে মাতৃরূপে চিন্তা করলেন— ‘the mother in me!’ তাছাড়া জামালপুরে মুসলমান গ্রামবাসীরা যখন হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করল তখন দেখা গেল সন্ত্রাসবাদীরা গরম হয়ে উঠেছেন। বরোদার ‘ভবানী মন্দিরের’ সাধক অরবিন্দের মনে গোড়া থেকেই ধর্মের ছাপ আছে, বঙ্কিমচন্দ্রের