পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

এপ্রিল—৪ মাস। (৪) ভবানীপুর —১৯০৮ মার্চ-এপ্রিল ২ মাস। (৫) শ্যামবাজার (গোপীমোহন দত্ত লেন)—১৯০৮ এপ্রিল—১ মাস। বারীন্দ্রের মানিকতলায় আস্তানা স্থাপন সম্পর্কে উপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় ‘নির্বাসিতের আত্মকথায়’ লিখেছেন—“বারীন্দ্র বলিল— ‘এরূপ বৃথা শক্তির ক্ষয় করিয়া লাভ নাই। বাক্যবাণে বিদ্ধ করিয়া গভর্ণমেণ্টকে ধরাশায়ী করিবার কোন সম্ভাবনা দেখি না। এতদিন যাহা প্রচার করিয়া আসিলাম, তাহা এইবার কাজে করিয়া দেখাইতে হইবে, এই সঙ্কল্প হইতেই মাণিকতলা বাগানের সৃষ্টি।

 ‘মাণিকতলায় বারীন্দ্রের একটি বাগান ছিল। স্থির হইল একটা নূতন দলের উপর যুগান্তরের ভার দিয়া যুগান্তর অফিসের জনকতক বাছাই বাছাই ছেলে লইয়া ঐ বাগানে একটা নূতন আড্ডা গড়িতে হইবে।’

 কানাইলালের জীবনী লিখতে বসে এত অবান্তর কথা কেন আসে, এবং তার মধ্যে কানাইলালের নামোল্লেখ পর্যন্ত কেন হয় না, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এত কথা এইজন্যেই বলতে হয় যে, বাংলার অগ্নিযুগ সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা না থাকলে কানাইলালের জীবনী উপলব্ধি করা শক্ত। কারণ, কানাইলাল নেতা নয়, সেনাপতি নয়—সে সৈনিক। বিপ্লবীযুগে একজন সৈনিকের পক্ষে কতখানি নিষ্ঠা, ত্যাগ ও সংযমের প্রয়োজন হত কানাইলাল তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। তাই সৈনিক

১২