পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কোনমতে ছরি টেনে পর্দা টিপে আমোদ উপভোগ করতেন। গানের অবস্থাও একরূপ। এক পর্দায় বাজনা বাজতো আর বিকৃত সুরে আর এক পর্দায় চিৎকার করে কড়িকাঠের দিকে চেয়ে আপন মনে তিনি গান গাইতেন। সকলের কাছেই এ দৃশ্য বেশ উপভোগ্য বোধ হত। তবে গান-বাজনায় প্রচুর উৎসাহ থাকলেও অভিনয়ের দিকে তাঁর বিশেষ আগ্রহ দেখা যেত না। রিহার্স্যালের সময় হয়ত তিনি আপন মনে গান গেয়ে চলেছেন দেখে জোর করে থামাতে হত। একবার থামিয়ে দিলে তিনি চুপ করে অভিনয় দেখতেন আর মাঝে মাঝে হাসির দৃশ্য থাকলে হো-হো করে বিকট শব্দে হেসে উঠতেন। বরাবরই তাঁর হাসির একটা বৈশিষ্ট্য ছিল। তবে, তিনি যে একেবারেই অভিনয় করতেন না, এমন কথা বলা যায় না। মাঝে মাঝে তাঁকে ছোট পার্ট, যেমন দূতের পার্ট দেওয়া হত। তিনি রঙ্গীন সাজ পরে মঞ্চে উঠে দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে কোন গতিকে দু’একটা কথা বলতেন কি বলতেন না। এই পর্যন্ত ছিল তাঁর অভিনয়-নৈপুণ্য। কিন্তু পরবর্তী জীবনে, কারাগারে, পুলিশের জেরার সামনে তিনি কি সুচতুর অভিনয় করে গেছেন!

 অল্প কিছুদিন পর এই অভিনয়ের আসর ভেঙ্গে গেল। তখন রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের প্রভাবে দেশ প্লাবিত। দরিদ্রনারায়ণ সেবার আদর্শে বহু যুৱক অনুপ্রাণিত হচ্ছে। এরাও মিলনকেন্দ্র নাট্যসমাজ সব ভেঙ্গে ফেলে কয়েকজনে মিলে

৩৪