পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তাছাড়া বিধবার যথাসর্বস্ব লুণ্ঠন করবার প্রবৃত্তি অনেকেরই ছিল না। নিতান্ত সমিতির স্বার্থের জন্য তাঁরা রাজী হয়েছিলেন এবং কথা ছিল দেশ স্বাধীন হলে বিধবাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাক্, কিছুদিন পর আবার এক নতুন ডাকাতির জন্য পরামর্শসভা বসল। তবে এবারে মতভেদটা ছিল তীব্র। হেমচন্দ্রের সঙ্গে বারীন্দ্রের মতের মিল হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আর ডাকাতি করা হল না। খবর এল লাটসাহেব নাকি গোয়ালন্দে যাচ্ছেন সেখানে পূর্ববঙ্গের তরফ থেকে তাঁকে অভিনন্দন দেওয়া হবে এবং তিনি সেখান থেকে বোম্বে যাত্রা করবেন। ঠিক হল এবার গোয়ালন্দে তাঁর জীবননাশের আর একবার চেষ্টা করা হোক। চেষ্টা হল।

 এবারেও হেমচন্দ্র গেলেন, সঙ্গে গেলেন প্রফুল্ল চাকী, দুঃখের বিষয় এবারেও চেষ্টা ব্যর্থ হল। ওঁদের চোখে ধুলো দিয়েই লাটসাহেব তার গন্তব্য-পথে চলে গেলেন।

৪৩