পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট
৩১৯

সভ্যসংখ্যা দুই লক্ষের উপর, বার্মায় ছিল ১০০টি শাখা, শ্যামে ছিল ২৪টি। ইহা ছাড়া আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, সুমাত্রা, জাভা, বোর্ণিও সেলিবিস দ্বীপপুঞ্জ, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, চীন মাঞ্চুকুয়ো এবং জাপান প্রভৃতি স্থানেও ইহার অসংখ্য শাখা এবং অভাবনীয় প্রভাব বৃদ্ধি পাইয়াছিল। আজাদ হিন্দ্ ফৌজের জন্য সৈন্য এবং সিভিল সার্ভিসের জন্য অফিসার সংগ্রহ করা হইত। সামরিক শিক্ষাদানের জন্য ৯টি কেন্দ্র ছিল। সিঙ্গাপুর এবং রেঙ্গুনে অফিসার ট্রেণিংয়ের জন্য দুইটি কেন্দ্র ছিল। কোন কেন্দ্রেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য ভিন্ন রকমের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় নাই, শিক্ষার্থিগণই পালাক্রমে সে ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। অফিসার এবং এবং এন-সি-ওগণ হিন্দুস্থানী ভাষায় শিক্ষাদান করিতেন। যুদ্ধে আদেশদানের রীতিও ছিল হিন্দুস্থানীতে। কেবলমাত্র মালয়েই প্রায় ২০ হাজার বেসামরিক ব্যক্তিগণকে শিক্ষাদান করিয়া আজাদ হিন্দ্ ফৌজের অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছিল, ইহা ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চল হইতে হাজারে হাজারে শিক্ষার্থী শিক্ষালাভ করিতে আসিয়াছিল, ইহাদের অনেককেই আজাদ হিন্দ্ ফৌজের অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে। আজাদ হিন্দ্ সঙ্ঘের সমগ্র আন্দোলনে কেবলমাত্র ভারতীয়গণের অর্থই ব্যয় করা হইত। পূর্বএশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ভারতীয়গণের নিকট হইতেই অর্থ সংগ্রহ করা হইত। বার্মায় ভারতীয় বাসিন্দাগণের নিকট হইতে কিছু দিনের মধ্যেই ৮ কোটি টাকা সংগৃহীত হইয়াছিল। ১৯৪৫ সালে জানুয়ারী মাসে ‘নব বৎসরের’ উপহার হিসাবে মালয় ভারতকে ৪০ লক্ষ টাকা দান করিয়াছিল। আজাদ হিন্দ ফৌজ নিজ প্রয়োজনের জন্য বাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ নিজ অর্থ দিয়াই ক্রয় করিত। আজাদ হিন্দ্ সঙ্ঘ ছিল প্রধানতঃ একটি রাষ্ট্রিক প্রতিষ্ঠান। সুতরাং ইহাকে সমাজসেবার গুরুদায়িত্বভার গ্রহণ করিতে হইয়াছিল। যুদ্ধপীড়িতদের সাহায্যকল্পে ইহার ভাণ্ডার হইতে অজস্র অর্থ ব্যয় করা হইত। মালয়ের