পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RVer विदिक्ष चित् | হইবে । ‘লজ্জাবতী-লতা’ হইতে “সমাজের প্রান্তভাঁগৈ, তাপিত অন্তরে জাগে, মেঘে ঢাকা” ইত্যাদিরূপ অংশের ভাবও ছাত্ৰবৃত্তি শ্রেণীর ১২১৪ বৎসরের বালকের সহজ বোধগম্য নহে ৷ এখন উপর উপর ভাব গ্ৰহণ করিয়া যাউক, বয়ঃ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্ত ভাবের মধ্যে আপনা হইতেই নিগৃঢ় ভাবে প্ৰবেশ করিতে পরিবে । বালকদিগকে যতদূর সম্ভব বুঝাইয়া দিতে হইবে, আর যাহা তাহারা বুঝিতে অক্ষম, তাহা জানিবার জন্য তাহাদিগের বাগ্ৰতা বৃদ্ধি করিয়া দিতে হইবে । সাহিত্যে ব্যাকরণ -দুচারিটী ব্যাকরণের কথা মধ্যে মধ্যে জিজ্ঞাসা করা মন্দ নহে । যে সকল শ্রেণীতে ব্যাকরণ পড়ান হয় না, সে সকল শ্রেণীতে (যথা নিঃ প্ৰাঃ শ্রেণী) বিশেষ্য, বিশেষণ, সৰ্ব্বনাম, কৰ্ত্তা, কৰ্ম্ম, ক্রিয়া, বৰ্ত্তমান, অতীত ও ভবিষ্যৎ কাল শিক্ষা দেওয়া কৰ্ত্তব্য । এ সকল বিষয়ের সুত্ৰ শিক্ষা দিবার আবশ্যকতা নাই, কেবল দৃষ্টান্ত দ্বারা বিষয় বোধ করাইয়া দেওয়াই আবশ্যক । নির্দিষ্ট পাঠ্যের তালিকায় ব্যাকরণের কথা উল্লিখিত না থাকিলেও, ব্যাকরণের ঐ সকল স্কুল বিষয় শিক্ষা দেওয়া কৰ্ত্তব্য। কারণ ইহাতে উত্তম ভাষার কতকগুলি প্ৰধান লক্ষণের পরিচয় হইয়া থাকে। আর ঐ সকল বিষয় দৃষ্টান্ত দ্বারা শিক্ষা দেওয়াও কঠিন ব্যাপার নহে । উচ্চ শ্রেণীতে সময় মত সমাস, তদ্ধিত, কৃৎ প্ৰভৃতির কিঞ্চিৎ আলোচনা হওয়া বাঞ্ছনীয় । উচ্চ শ্রেণীর বালকদিগকে অভিধান দেখিতে শিক্ষা দেওয়া আবশুক ! একটী কঠিন কথা পাইলেই শিক্ষক যে কোন বালককে সেই শব্দের অর্থ বাহির করিতে আদেশ করিবেন । শব্দের বহু অর্থ লেখা থাকে। } কোন অর্থ পাঠের সহিত মিলিবে, তাহ বালকেরাই প্ৰথমে নিৰ্দ্ধারণ করিতে চেষ্টা করিবে । অভিধানে কেমন আকারাদি ক্রমে কথা গুলি সাজান থাকে, তারপর আকার, ইকার, ও ককারাদি ক্রমে ফলাগুলিই বা কোনটার পর কোনটা লিখিত থাকে, তাহা দুচার দিন