বিবিধ বিধান । سمو! 8ber ܒܫܒܫܒܫܒܩ grrrr nag-aak থাকে, তবে তঁাহার পক্ষে কেবল পদ্ধতির পুস্তক পড়িয়া, শিক্ষকতা করিতে চেষ্টা করা বৃথা । এই পুস্তকে শিক্ষাদানের প্রকরণটি মাত্ৰ দেখাইয়া দেওয়া হইয়াছে,-বিষয়ের জন্য সেই সেই বিষয়ক পুস্তক পাঠ করিয়া উত্তমরূপে প্ৰস্তুত হইতে হইবে । তারপর আরও একটা বিশেষ কথা এই যে প্ৰকৃত শিক্ষক হইতে হইলে ছাত্ৰ হইতে হইবে ; আত্ম শিক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা করিতে হইবে । বিদ্যালয়ে শিক্ষার শেষ হয় না । চিরজীবনই শিক্ষার সময় । বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর হইতেই আত্মশিক্ষার কাল উপস্থিত হয় । আত্মশিক্ষার বহু উপায় আছে, তন্মধ্যে নিম্নলিখিত উপায় গুলি সাধারণ—(১) উত্তম গ্রন্থাদি অধ্যয়ন (২) পাঠ, কথকতা, বক্ততোদি শ্রবণ; (৩) উন্নত ব্যক্তিদের সহিত আলাপ (৪) দেশ ভ্ৰমণ ; (৫) পর্যবেক্ষণ আবে আত্মশিক্ষা বিশেষ আবশ্যক ও বটে, কারণ (/০) বিদ্যালয়ে সমস্ত বিদ্যা শিক্ষাকরা অসম্ভব, (oj০) ঘাহা কিছু শিক্ষা করা হইয়াছে Tে গুলিকে সতেজ রাখিবার জন্য অ্যালোচনা আবশ্যক । (৩/০) চারিদিকের কঠোর প্রতিযোগীতার সহিত সমকক্ষতা রক্ষা করিতে হাইলে, সৰ্ব্বদা নিজকে নব নব জ্ঞানে উন্নত রাখা আবশ্যক (০) আত্মোন্নতি পদোন্নতি, ভবিষ্যৎ উন্নতি সমস্তই এই আত্মশিক্ষার উপর নির্ভর । আত্মশিক্ষার যে সমস্ত উপায় উল্লিখিত হইয়াছে তন্মধ্যে উত্তম পুস্তক পাঠই সহজ ও সর্বোৎকৃষ্ট উপায় । কিন্তু বিশৃঙ্খলভাবে কতকগুলি বাজে পুস্তক পাঠ করিলে, বিশেষ কোন ফল লাভ হয় না। আত্মশিক্ষার জন্য (ক) নিজের রুচিকর উত্তম পুস্তক সংগ্ৰহ করিতে হুইবে । জীবন চরিত, ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত, ইতিহাস, পুরােণ, প্ৰাণী বৃত্তান্ত, উদ্ভিদ বিদ্যা প্ৰভৃতি উত্তম বিষয় । (খ) পুস্তক পাঠ করিয়া কি নুতন জ্ঞান লাভ হইল তাহা চিন্তা করিতে হইবে ।
