পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSN 8 বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প পাত্তর দিয়ে আমাদের তিনি নিয়ে আসে । --মইও তারে খােব চিনি । —আপনি কতদর যাবা ? --বেড়াতে বেরিইচি, যেতদর যাওয়া যায় ততদরে যাবো । ওদের মধ্যে একজন বললে—তবও কতদার যাওয়া হবে ? আমার সঙ্গে বাহাদরপর চলো। আমি সেখানে যাবো । -সে কনে ? -कsल१ाद्ध छाए । --তবে পয়সা নিয়ে মোর টিকিটখানা তোমার সঙ্গে করে নিয়ে এসো ভাই। -ा७ ÈIाका । --কত নাগবে ? --এগারো অনা । আধঘণ্টা পরে লোকটা টিকিট কেটে এনে তার হাতে দিল। সি দারচরণ পাটলির মধ্যে থেকে কাতুর দেওয়া ধপি-পিঠে খেতে লাগলো এবং তার সঙ্গীকে দিলে । ধন্পি-পিঠে আর কিছই নয় শােধ চালের গড়োর পিঠে, জলে সিদ্ধ। গড় দিয়ে ভিন্ন সে কঠিন ইটের মত জিনিস গলা দিয়ে নামে নাকিন্তু গড় সে সঙ্গে করে আনেনি কাপড়চোপড়ে লেগে যাবে বলে। ওর সঙ্গী বল্লে-একটা রসগোল্লার রস কিনে আনবো ? এ বন্ড শান্ত । --হগিা উত্তরের গাড়ি কখন আসবে ? -এই এল । তামাক খেয়ে ল্যাও তাড়াতাড়ি । একটি পরে আরাম করে বসে ওরা তামাক খেতে লাগলো। সঙ্গে সঙ্গে হাড়মড় করে উত্তরের অথাৎ মশিদাবাদের ট্ৰেন এসে হাজির । চা, পান, পাউরটির ফিরিওয়ালাদের চীৎকারে প্ল্যাটফৰ্ম্মম মােখরিত হয়ে উঠলো। যাত্রীরা ইতস্তত ছাটাছটি করতে লাগলো গাড়ীতে ওঠবার চেন্টায়। হতভম্বব ও কিংকৰ্ত্তব্যবিমােঢ় সিদ্যরচরণের হাত ধরে টেনে হিচড়ে তার নতুন সঙ্গী তাকে একটা কামরায় ওঠালে । গাড়ী রাণাঘাট ছেড়ে দিলে । সিদ্যরচরণ এক কলেক তামাক সেজে হাঁপ ছেড়ে বলল-বাবাঃ-এর নাম গাড়ি চড়া ? কি কান্ড ! সিদরচরণের মনে হলো কাতুকে কতদরে ফেলে সে অজানা বিদেশবিভাইয়ের দিকে চলেচে ! না এলেই যেন ছিল ভালো ! কে জানে বাড়ীর বার হলেই এসব হাঙ্গামা ঘটবে ? বিদেশের লোক কি রকম তারই বা ঠিক কি ? তার টাকা ক'টা কেড়ে নিতেও পারে। তার সঙ্গী তাকে বলে দিচ্চে-এই উলো, এই বাদকুলো, এই কোিটলাগর। -কোেটলগার ? কই দেখি দিকি ! নাম শোনা আছে বহাত দিন যে। সিদ্যরচরণ বিশেষ কিছুই দেখতে পেলো না। গোটাকতক টিনের গদোম, খানকতক ঘোড়ার গাড়ী, দ্য চারটি কোঠাবাড়ী।। তাই দেখেই সে মহা খশি। মন্ত জায়গা কেন্টনগর। দেশে ফিরে গল্প করার মত কিছর পাওয়া গেল বটে।