পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রবময়ীর কাশীবাস WG --দিদি, আজ আমার সঙ্গে চলন কেদার ঘাটে । কাশীখন্ডের ব্যাখ্যা করবেন। উপীন কথক । শোনবার জিনিস। কাশীতে এসে কাশীখণ্ড শনতে 交部一 -আমার শরীর ভালো না, আজ থাক, তুমি যাওনীরজা নাছোড়বান্দা, অবশেষে নিয়ে গেলেন দ্রব ঠাকরণকে। কেদার ঘাটে এর আগেও দ-তিন বার দ্রব গিয়েচেন সত্যর মার সঙ্গেই । ওপরের রানার চওড়া চাতালের একপাশে ফস রোগামত কথকঠাকুর কথকতা শার করেচেনতাকে ঘিরে বাঙালী মেয়ে পরিষের ভিড়। পরিষের চেয়ে মেয়ে অনেক বেশী। সত্যর মা জিজ্ঞেস করলেন--দিদি, প্ৰণামী কিছ; এনেচেন তো ? -ऊ ऊा ८क्ष् ॰ा- रुषान्न्--আট আনার কম দেওয়া যায় না। আচ্ছা, আপনারটা আমি দিয়ে দেব 、四*「エー SSiBDBBBD BB DD D BDD BB BD BB DDL SS DBB DBDDD DD পাঠায় । —এখানে যা দেবেন। দিদি, পরকালে তোলা রইল।-- বিষরি গঙ্গায় ঢল নেমেচে । কেদার ঘাটের সামনের নদীতে কাদের বড় একটা বজরা ভেসে চলেচে, দাতিনখানা পান্সিতে সসডিজতা নরনারী নদীভ্ৰমণে বার হয়েছে। রামনগরের দিকে সায্য অস্ত যাচ্ছে---উচু বাড়ীর ছাদের কানিশে তরল সোনার মত ঝিলমিল করচে রাঙা রোদ । কথকঠাকুর সকণ্ঠে গান ধরেচেন। কাশী সকল তীথের সার, মাতুত্যুর সময় মণিকণিকার ঘাটে স্বয়ং বিশবনাথ কানে মন্ত্র দেন-মানষের শিবলোকপ্রাপ্তি ঘটে—এই হলো গানের অর্থ । দ্রব ঠাকরণের মন অজ্ঞাতে অনেকদরে চলে গেল। তাঁর খয়েরখাগী গাছে কত কাঁঠাল হয়েচে এই আষাঢ় মাসে ; বন্ড কাঁঠাল ধরে গাছটাতে, শেকড়ে পৰ্যন্ত কাঁঠাল ! তিনটে আম গাছে আমিও নিশ্চয় খাব ধরেছিল--নাতিরা কি গিয়েচে আর খেতে ? তাদের সেদিকে দহ্মিন্ট নেই। বারোভাতে লাটে খাচে । রাত্রি নামলো । নীরজা বল্লেন-চলন দিদিদ্রব ঠাকরণ লক্ষ্য করেচেন সমস্ত সময় নীরজা মাগী ফোঁস ফোঁস করে কৈদেচে । আর কেবল বলেচে-আহা-হা-হা ! যদি এ ম্যাগীর সঙ্গ ছাড়তে পারতেন !-কিন্তু তা হবার নয়, কানা শনিবে না। বাসায় এসে নীরজা দেখলেন তাঁর সঙ্গনীর মন বড় খারাপ-অন্যমনসােক ভাব, বিশেষ কোনো কথা বলে না । কাশীখণ্ড শানে আজ তা হলে খব ভালো লেগেচে বোধ হয়। পাষাণ বঝি গলেচে । নীরজা বল্লেন-কি ভাবচোন দিদি ? -একটাগাছ কাঁঠাল দেশে। খায়েরখাগীর কাঁঠাল, সে তুমি কখনো খাওনি