পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী যাইবার আর কয় দিন বাকি ••• গন্তব্য স্থানে পৌঁছিতে সন্ধ্যা হুইয়া গেল। সেদিন রান্ত্রে শুইয়া সে কর্ণপুরকে বিরক্ত করিয়া তুলিল-আমি কৃষ্ণকে দেখতে যাব বাৰা ! কৃষ্ণ কোথায় গঙ্ক চিয়ান বাবা ? কাল সকালে উঠে যাব। পরদিন স্বীয় ধাঙ্গক্ষেত্রে যাইবার সময় কর্ণপুর ভুহিকে সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলেন ও ক্ষেত্ৰ হইতে কিছু দূরে পথের ধারে বসাইয়া রাখিয়া বলিলেম-এখানে চুপ ক’রে বসে থাক, কৃষ্ণ এই পথে যাবেন। উঠে এদিক-ওদিক গেলে কিন্তু আর দেখতে পাবে না। চুপ *oxogroño I সন্ধ্যার কিছু পূর্বে ক্ষেত্রের কাৰ্য্য শেষ করিয়া কৰ্ণগুৱ বালককে লাইতে আসিলেন। তাহাকে দেখিয়া সে মহা উৎসাহে বলিল-দেখেছি বাবা, এই মাত্র কৃষ্ণ গরুর পাল চরিয়ে নিয়ে ফিরে গেলেন।--তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে ? তুমি দেখতে পেলে না। কর্ণপুর বুঝিলেন, নিৰ্বোধ বালক গ্রামের রাখালদিগকে গরুয়া পাল লইয়া ফিরিতে দেখিয়াছে। বলিলেন- চলো, বাড়ী চলে-আমি অনেক দেখেছি।--তুমি দেখেছি তো, তাহলেই ভাল । তার পরদিন হুইতে বালক প্রায়ই বাবার সঙ্গে মাঠে স্থায় ও পথের ধারে নিৰ্দিষ্ট স্থানটিতে বসিয়া থাকে। রোজই বাপকে অনুযোগ করে, কেন বাবা এখানে সন্ধ্যায় সময় থাকো না, কোন দেখো না ! কোন কোন দিন বলে-কাল অ্যামার দিকে চেয়ে কৃষ্ণ বললেন, আয় না। গল্প চরাবি ! আমি তোমায় না জিজ্ঞাসা করে যেতে পারিনি। ষাবো বাবা কাল ? প্রতিদিন এক কথা শুনিয়া কৰ্ণপুরের মনে খটকা লাগিল। বালক ক্ষেভাবে কথাগুলো বলে তা হাতে মিথ্যা কথা বলিতেছে বলিয়াও মনে হয় না। ব্যাপারটা কি ? একদিন বালককে বলিলেন, এবার সে-সময় যেন তঁহাকে সে ক্ষেত্র হইতে ডাকিয় লয়, তিনিও দেখিবেন। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বালক চুটিয়া আসিয়া উত্তেজিত কণ্ঠে বলিল-শীগগির এসো বাবা, কৃষ্ণ আসছেন । কর্ণপুর বালকের পাছু পাছু পথের ধারে গিয়া দাড়াইলেন। কোথাও কেহ মাই, মাঠেব ধারে নির্জন পথ-কিন্তু বালক দুই হাত তুলিয়া মহা উৎসাহে বলিল-ঐ দেখি বাবা-গরুর দল । “ ঐ যে-ঐ দেখা “আসছেন - কর্ণপুর বলিলেন-কৈ কৈ-কোন কিছুই উহার চোখে পড়িল না । বালক বলিল-এইবার দেখেছ তো বাবা ? দেখেছি কত গরু :-"ঐ দেখ, কৃষ্ণ কেমন Cግዘማrዊ ሣኚጻ ፻ •• কর্ণপুর বিশিত হইলেন। বালকের দিকে চাহিয়া দেখিলেন-সে কৌতুহলপূর্ণ দৃষ্টিতে উত্তেমিতভাবে জনশূন্য পথের দিকে চাহিয়া আছে। ভাবিলেন, ইহা মস্তিক বিকৃতির লক্ষণ a vs হঠাৎ কিন্তু সেই নির্জন পথে কর্ণপুরের কানো গেল, ”। সত্যা সতাই যেন একদল গঙ্গর