বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশ্ব ] বিরাজ-বেী & বলিয়া চিঠিখান কুচি কুচি করিয়া ছিড়িয়া ফেলিতে ফেলিতে বলিল— বিরাজ। উঃ, পুরুষমানুষেরা কী ? চার দিন চার রাত না থেযে না ঘুমিযে কাটালুম, ও হাতে হাতে তার প্রতিফল দিতে এই রোগ শরীরে চলল বসন্ত রুগী ঘাটতে । আচ্ছা যাও, আমার ভগবান আছেন। সে চলিযা যাইতেছিল। অতি ক্ষীণ হাসি নীলাম্বরের ওষ্ঠ্যধরে ফুটিয়া উঠিল, সে ধীরে ধীরে বলিল— নীলাম্বর । সে ভরসা কি তোদের আছে বিরাজ, যে কথায কথায় ভগবানের দোহাই পাড়িস ? বিরাজ ঘুরিয়া দাড়াইয় ক্রোধের স্বরে বলিল— বিরাজ । না ভগবানের উপর ভরসা তোমাদেরই একচেটে, আমাদের নেই। আর ভরসা থাকে ভাল না থাকে ভাল, এই রোগ দেহ নিযে এই রোদে তোমাকে বাড়ির বার হতে আমি দেব না, তা তুমি যত তর্কই কর না কেন । বিরাজ চলিয়া গেল নীলাম্বর হতাশ ভাবে খুটি ঠেস দিয়া বসিল । একটু পরে মতি ছুটিতে ছুটিতে আসিয়া প্রবেশ করিল মতি । ঘরে যেয়েই ফিরে এমু, ছিমস্ত কী রকম করতিছে— বলিতে বলিতে সে সিড়ির উপর মাথা ঠুকিতে উদ্যত হইল । নীলাম্বর তাড়াতাড়ি তাহাকে ধরিয়া উঠাইল ও বলিল— নীলাম্বর । চুপ, চুপ, চুপ কর মতি । কোন ভয় নেই। মতি । ওগো আমার ছিমস্ত বুঝি— নীলাম্বৱ । আমি যাচ্ছি, আমি যাচ্ছি । মতিকে টানিয়া লইয়া নীলাম্বর বাহির হইয়া গেল। একটু পরে পূজার মৈবেষ্ট গইরা কুন্দরী ও একটি ডাব হাতে হরিমতি আসিল