পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লৌহকচুর্ণ 42:7: »»ề ra George Pearson M D Mtste giftsst #Acoexperiments and observations to investigate the nature of a kind of steel, manufactured at Bombay. and there called wootz......" ইহার পর Mr. Heath একটী বিস্তৃত প্রবন্ধ লিখিয়া বুৎজের বাণিজ্য ও উপযোগিতা প্রকাশ করেন। ; আমরা পেরিপ্লাসের বর্ণনা হইতে জানিতে পারি যে, সেই সময়ে ভারতীয় ইস্পাতের বহুল খ্যাতি ছিল। প্রাচীন আরবীয় কবিতাসমূহে সুপ্রসিদ্ধ ভারতীয় ইস্পাত-নিৰ্ম্মিত তরবারির উল্লেখ আছে। প্রাচীন স্পেনবাসীর নিকট ইহা অলহিন্দে নামে পরিচিত ছিল। পারসিক বণিকগণ উহাকে ‘ছন্নী বলিতেন। মার্কোপোলের বিবরণীতে উহ! “ওন্দানিক্‌” (ondanique) *** বিবৃত রহিয়াছে। খৃষ্টীয় ১৬শ শতাৰে পৰ্তুগীজ বণিকৃগণ কানাড়া উপকূলস্থিত ভাটকল প্রভৃতি স্থান হইতে লৌহ লইয়া যুরোপে রপ্তানী করিতেন। ১৫৯১ খৃষ্টাব্দে পর্তুগালরাজ গোয়ার গবর্ণরকে একখানি আদেশপত্রে লিথিয়া পাঠান যেন তিনি প্রচুর লৌহ ও ইস্পাত চেউল বন্দর হইতে আফ্রিকার উপকূলে এবং লোহিতসাগরতীরবর্তী তুর্কজাতির মধ্যে বিক্রয়ার্থ প্রেরণ করেন। (Archivo Port. Orient, Fasc. 3, 318) Wilkinson o Engines of war (>98; 4) ato পুস্তকে এবং Percy রচিত ধাতববিজ্ঞান (Metallurgy, Iron and Steel) গ্রন্থে “কৃতজ ” নামক ইস্পাতের বিশেষ প্রশংসা আছে। তাহারা লিখিয়া গিয়াছেন যে, ডামাস্কাসের বিখ্যাত তরবারির ফলক ভারতীয় বুৎজ ইস্পাত হইতেই নিৰ্ম্মিত হইত। বর্তমান সময়ে ভারতীয় লৌহ অপেক্ষ যুরোপীয় লৌহেরই আদর অধিক। ইহা হইতে গৃহস্থের নিত্যব্যবহার্য হাত, বেড়, খুস্তি, ঝাঁঝর, কড়া, তস্লা প্রভৃতি পাত্র এবং কড়ি, বরগা, থাম, কল, কক্সা প্রভৃতি সকলই প্রস্তুত হইতেছে। রেলপথ, সেতু প্রভৃতি অনেকানেক স্ববৃহৎ অসংসাহসিক কাৰ্য্যও লোঁহের দ্বার সম্পাদিত হইতে দেখা যায়। লৌহের ইস্পাত হইতে ইঞ্জিন প্রস্তুত হয়। ২ ছাগবিশেষ। "অজেন বাপি লৌহেন মঘাস্বেব যতব্ৰতঃ ।” ( ভারত ১৩৮৮১৩ ) লোঁহকচুর্ণ, চিকিৎসায়ারোক্ত বিভেদ। [ e8: 1 থাকিবে। অধিক সম্ভব, ইস্পাতার্থবোধক এই উষ্ণু শব্দই পরে ইস্পাতঙ্গ,উকে নামক যন্ত্ররূপে ব্যবহৃত হইয়াছে।

  • Philos. Transactions for 1795, pt II.

f Journ. Roy. As. Soc, Wol. W., p. 890, XVII লৌহপপটারস লোঁহকন্তুক (ক্লী) কান্তলোঁহ । ( রাজনি” ) লৌহকিট (ক্লী) মওর । লৌহচারক (পুং ) লোহেন লৌহনিগড়েন চার প্রচারে যত্র। নরকভেদ । যেখানে নিগড়ে বন্ধন করিয়া সাজ দেওয়া হয় । [ লৌহদারক দেখ ] 翰 লৌহজ (ক্লী) লোহাৎ জায়াত ইতি জন-ড। ১ মওর। ( রত্নমালা ) ২ বৰ্ত্তলোঁহ, চলিত বিদরী । ( রাজনি” ) লৌহদাহ (পুং ) অখচিকিৎসাভেদ। বায়ুপ্রকোপাদি হেতু অশ্বশরীরে রোগ জন্মিলে লৌহশলাকা দ্বারা দগ্ধকরণরূপ ব্যাপারভেদ । লৌহনিরুর্থীকরণ (ক্লী) সম্যক্রূপে লোহভস্মীকরণ। লৌহনিরুর্থীকরণমিত্রপঞ্চক (ক্লী) স্থত, মধু, কুঁচ, সোহাগা ও গুগগুলু পাচটা পদার্থ ধাতুপদার্থে সংযুক্ত হয় বলিয়া মিত্রপঞ্চক নামে অভিহিত। মিত্রপঞ্চকসহ বিপক ও মৃত লৌহ সংযত না হইলেও ৪ রতি মাত্রা সেবন করা যাইতে পারে। ( রসেন্দ্রসায়স ) লোঁহপত্রী (স্ত্রী) ১ লৌহচটক, লোহার চটা। ২ লোহ মারণ। ৩ লৌহপুর, একট প্রাচীন নগর। (ভবিষ্যব্রহ্মখণ্ড ৭।৩২) লৌহপপটী, ঔষধবিশেষ। প্রস্তুত প্রণালী—পারদ ২ তোলা, গন্ধক ২ তোলা একত্র কজ্জলী করিয়া তাহার সহিত ২ তোলা লৌহ মিশ্রিত করিয়া লৌহপাত্রে উত্তমরূপে মৰ্দ্দন করিবে । পরে কোন লৌহপাত্রে স্কৃত মাথাইয় তাহাতে কজ্জ্বলী স্থাপন করিয়া মৃদ্ধ অগ্নিতে স্বেদিত করিবে। দ্রবীভূত হইলে কদলী পত্রে ঢালিয়া যথাবিধি পর্পট প্রস্তুত করবে। পরে চূর্ণ করিয়া লইবে । ১ রতি হইতে আরম্ভ করিয়া প্রত্যহ ১ বুতি করিয়া মাত্রা বৃদ্ধি করিবে। এক সপ্তাহ বা ২ সপ্তাহ পর্য্যস্ত অর্থাৎ আরোগ্য লাভ পর্য্যন্ত সেবনীয়। অমুপান শীতল জল অথবা জীরা ও ধনের কাথ। ঔষধ সেবনকালে বিদ্যহী ও শাকাদি দ্রব্য এবং চিন্তা, মৈথুন প্রভৃতি বর্জনীয়। লৌহপপট সেবন করিলে গ্ৰহণী,স্থতিক, অতীসার, পাণ্ডু, কামলা, অগ্নিমাদ্য ও ভস্মক প্রভৃতি নানা রোগ নষ্ট হয়। (ভৈষজ্যরত্না’ গ্ৰহণাধি” ) লৌহপপটারস, শ্বাসরুচ্ছ ও কাসাদি রোগনাশক ঔষধভেদ। প্রস্তুতপ্রণালী-পারদ ও গন্ধক প্রত্যেক ২ ভাগ এবং লৌহ ১ ভাগ একত্র মর্দন করিয়া মৃদ্ধ অগ্নির উত্তাপে গলাইয়া বট প্রস্তুত করিবে। অনন্তর ব্রহ্মযষ্টি, মুণ্ডিরী, বক, ত্রিফল, জয়ন্তী, নিসিন্দা, ত্রিকটু, বাসক, ঘৃতকুমারী ও আদা এই সকল দ্রব্যের প্রত্যেকের রসে সাত সাতবার ভাবনা দিয়া শুষ্ক হইলে তাম্রপাত্রে রাখিয়া গন্ধ নির্গত হওয়া পৰ্য্যন্ত পুটপাক করিবে। দুই রতি পরিমাণ এই ঔষধ পাশের রস, পিপুল,