পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-.يسيسيبي-سي--------------------- в р পাশুপতদর্শন এ সকল কার্য তাহাদের নিরর্থক ; কিন্তু যাহার এইরূপ অt পত্তি উপস্থিত করেন, তাহারা বিবেচনা করিয়া দেখেন না যে, যখন ভগবানের ইচ্ছানুসারে কার্য হইয়া থাকে, তাহার যথন যে বিষয়ে ইচ্ছা হইবে, তখনই সেই বিষয় সম্পন্ন হইবে । এককালে সকল কার্য হউক, অথবা সৰ্ব্বদা সকল কাৰ্য্য হউক, এ প্রকার পরমেশ্বরের ইচ্ছা হয় না, সুতরাং ঐরূপ কাৰ্য্যাদি হয় না। ঈশ্বরের যদি ঐ রূপ ইচ্ছা হয়, তাহা হইলে ঐ প্রকার কাৰ্য্যাদি ও সম্পন্ন হয় । তিনি যেরূপ ইচ্ছা করিয়াছেন, জগৎও সেইরূপ ভাবে চলিতেছে, তাহার ইচ্ছাতেই স্বাক্ট, স্থিতি ও লয় হইতেছে। মুমুক্ষু ব্যক্তি যোগাভ্যাসে, স্বর্গাভিলাষী যজ্ঞাদি কাৰ্য্যে এবং সাংসারিক মুখেছু ব্যক্তি ধনোপার্জনাদিতে প্রবৃত্ত হউক, এইরূপ ঈশ্বরের ইচ্ছা হয় বলিয়াই ঐ সকল বিষয়ে ঐ সকল ব্যক্তিদিগকে প্রবৃত্ত হইতে হয় । উtহার ইচ্ছা কখনই বৃথা হয় না। পরমেশ্বর সকলের প্রভূস্বরূপ এবং তাহার ইচ্ছা আদেশস্বরূপ, সুতরাং প্রভুর আদেশ উল্লজঘনে অসমর্থ হইয়া অগত্য সকলকে ঐ সকল বিষয়ে প্রবৃত্ত হইতে হয় এবং ইহা যুক্তিবিরুদ্ধও নহে। পরমেশ্বর এইরূপ স্বেচ্ছাক্রমে সকল কাৰ্য্য সম্পাদন করেন বলিয় তাহীকে স্বেচ্ছা চারী ও কহে । এই দর্শন মতে মুক্তি দুইপ্রকার। দুঃথ সকলের অত্যন্ত নিবৃত্তি ও পারমৈশ্বৰ্য্যপ্রাপ্তি । অন্তlন্ত দার্শনিকগণ দুঃখের অত্যস্ত নিবৃত্তিরূপ মোক্ষেরই নির্দেশ করিয়াছেন ; কিন্তু ইহাদের মতে কেবল দুঃখনিবৃত্তি হইলেই যে মুক্তি হইল, তাহ মহে, তাহার সঙ্গে সঙ্গে ঐশ্বর্য লাভ ও প্রয়োজন । দুঃথাত্যস্তনিবৃত্তিরূপ মুক্তি হইলে আর কোন কালেই কোন দুঃখ জন্মে না । এইজষ্ঠ ঐ মুক্তিকে চরমতুঃখনিবৃত্তি কহে। দৃকশক্তি ও ক্রিাশক্তিভেদে পরিবৈশ্বখ মুক্তি দ্বিবিধ । মৃকশক্তিদ্বারা কোন বিষয় অবিজ্ঞাত থাকে না । যত স্থা, যত ব্যবহিত বা যত দূরে থাকুক না কেন, তাহা স্থল, অবাৰহিত ও অদূরবর্তী বস্তুর ন্যায় দৃষ্টিগোচর হয় এবং বস্তুর যে গুণ বা দোষ আছে, তাছাও জানা যায়। কৃশক্তিমান ব্যক্তি সকল বিষয়েই জ্ঞানপথের পথিক হয় । ক্রিয় শক্তি হইলে যখন যে বিষয়ে অভিলাষ হয়, তখনই তাছা সুসম্পন্ন হইয়া থাকে । ক্রিয়াশক্তি মুক্ত ব্যক্তির কেবল ইচ্ছামাত্র অপেক্ষা করে । মুক্ত ব্যক্তির ইচ্ছা হইলে অন্ত কোন কারণ অপেক্ষ না করিয়াই অবিলম্বে তাহীর মনোরথ পুর্ণ হয় । এই দৃকশক্তি ও ক্রিয়াশক্তিরূপ মুক্তি পরমেশ্বরের তত্ত্বৎ শক্তি সদৃশ । এজন্ত উহার নাম পারমেশ্বৰ্য মুক্তি । পুর্ণপ্রজ্ঞদর্শনে যাহা মুক্তি বলিয়া অভিহিত হষ্টয়াছে, এই [ లిలిథ ] পাগুপতদর্শন দর্শনে ঐ মত নিতান্ত অযৌক্তিক ও অশ্রন্ধেয় বলিয়। স্বীকৃত হইয়াছে। পুর্ণপ্রজ্ঞদর্শনে কথিত ভগবদাসত্বপ্রাপ্তিকে মুক্তি বল বিড়ম্বন মাত্র। কারণ মুক্তব্যক্তির যদি দাসত্বরূপ অধীনত। শৃঙ্খলে বন্ধ হইতে হইল, তবে তাহাকে কিরূপে মুক্ত বলা যাইতে পারে ? দেখ, অমূল্যমণিমাণিক্যরত্নাদি-বিনিৰ্ম্মিত শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যক্তিকে ও বন্ধই কহিয়৷ থাকে । কেহই তাহাকে মুক্ত কহে না । অতএব অন্ধকে পদ্মপলাশলোচন বলার স্থায়, ভগবদাসত্বরূপ অধীনতাপাশে বদ্ধ ব্যক্তিকে মুক্ত বল যুক্তিবিরুদ্ধ ও হাস্তাস্পদ তাঁহাতে আর সন্দেহ নাই । এই মতে প্রত্যক্ষ অনুমান ও আগম এই তিনপ্রকার প্রমাণ ; প্রধান ধৰ্ম্মসাধনের নাম চর্যাবিধি । চৰ্য্য কুইপ্রকার ব্রত ও দ্বার। ত্রিসন্ধা ভস্মস্ত্রক্ষণ, তস্মশয্যায় শয়ন ও উপহার এই তিনকে ব্রত কহে । হ, হ, হা করিয়া হাস্তব্ধপ হসিত, গান্ধৰ্ব্ব শাস্ত্রানুসারে মহাদেবের গুণগানারূপ গীত, নাট্যশাস্ত্রসন্মত নর্তনরূপ নৃত্য, পুঙ্গবের চিৎকারের ছায় চিৎকাররূপ হুড়,স্কার, প্রণাম ও জপ এই ছয় কৰ্ম্মকে উপহার কহে । এইরূপ ব্ৰত জমসমাজে না করিয়া গোপনে সম্পাদন করিতে হয় । এই চৰ্য্যা ক্রাথন, স্পন্দন, মন্দন, শৃঙ্গারণ, জবিতৎকরণ ও অবিত স্তুtষণভেদে ৬ প্রকার । সুপ্ত না হইয়া স্বপ্তের ন্যায় প্রদর্শনকে ক্রাথন কহে এবং ধায়ু সম্পর্কে কম্পিতের ন্যায় শরীরাদির কম্পনকে স্পমান, খঞ্জব্যক্তির অতুরূপ গমনকে মন্দন, পরমরূপবর্তী স্ত্রীসন্দর্শনে বাস্তবিক কামুক মা হইয়া ও কামুকের ন্যায় কুৎসিত ব্যবহার প্রদর্শনে শৃঙ্গারণ, কর্তব্য কর্তব্য পৰ্য্যালোচন!শুনোর ন্যায় ধিগৰ্হিত কৰ্ম্ম সুষ্ঠানকে অবিতৎকরণ এবং নিরর্থক বা বাধিতথিক শব্দেী চারণকে তাবিতণ্ডাষণ কহে । এই মতে তত্বজ্ঞানই মুক্তির কারণ । শাস্ত্রা সুরেও তত্ত্বজ্ঞান মুক্তির কারণ বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে বটে ; কিন্তু তান্ত শাস্ত্রে এইরূপ তত্ত্বজ্ঞান হষ্টবার সম্ভাবনা নাই । এই জন্য পাশুপতের মতে এই শাস্ত্রই মুমুক্ষুদিগের একমাত্র অধলধনীয় । বিশেষরূপে যাবতীয় বস্তু ম৷ জণিতে পারিলে তত্ত্বজ্ঞান হয় না ; কিন্তু যাবতীয় বস্তুর বিশেষরূপে জ্ঞান শাস্ত্রাস্তর দ্বারা gggD KKBB BBS BBB BS BS BSB BBB BB BBBS রূপে নির্দিষ্ট হয় নাই। অন্যান্য শাস্ত্রে কেবল দুঃখনিবৃত্ত্বিই মুক্তি, তার যোগের ফল কেবল দুঃখনিবৃত্তি । কার্যাজাত অনিত্য এবং কারণ স্বরূপ পরমেশ্বর কৰ্ম্মাদি সাপেক্ষ এইৰূপ নির্দিষ্ট তাছে ; কিন্তু এই পাশুপতদর্শনের মতে দুঃখনিবৃতি ও তৎসঙ্গে সঙ্গে পারমৈশ্বর্য প্রাপ্তিই মুক্তি এবং পরমেশ্বর স্বতন্ত্ৰ কর্তা ।