পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ :९ *** * কিছুমাত্র জীত হইলেন না, শিবিক ফিরাইতে জাদেশ দিলেন। रुखैौ *ष आं★नाहेब मैंॉफ़ाहेण । बांश्रुत्वा शृङ्ग छैनश्उि দেখিয়া পালকী ফেলিয়া,পলাইল। শের-আফগাল তখন বিপদ বুঝিরা সৰ্ব্বাঙ্গে বেদনাস্বত্বেও পান্ধী হইতে বাহির হইলেন এবং নিজ নিত্য সঙ্গী ক্ষুদ্র তলবারিদ্বারা হস্তীগুগুমুলে ভীমবলে এমন আঘাত করিলেন যে, তাহাতেই শুও কাটির ভূমে পড়িল, হস্তী গর্জন করিতে করিতে পলাইয়া গেল ও কিছুদূর গিয়া মরিয়া পড়িল । সম্রাটের বড়ই উদ্বেগ ছিল । তিনি প্রাসাদের এক জানালা হইতে শের-আফগানের এই ধ্বংসব্যাপার দেখিতেছিলেন । শের-আফগান সেই অবস্থায়ও হস্তী বিনাশ করার, প্রাসাদের জানালায় দাড়াইয়া সম্রাট লজ্জিত ও ম্ৰিয়মান হইয়া ফিরিয়া আসিলেন। শের-আফগান এই ব্যাপারে আরও উৎফুল্ল হইয় অসন্দিগ্ধচিত্তে সম্রাটুকে সংবাদ দিতে গেলেন। ; সম্রাট মুখে অজস্র প্রশংসা করিয়া বিদায় দিলেন। শেরআফগান পরে বদ্ধমানে ফিরিয়া আসিলেন। ছয় মাস আর কোন উৎপাত হয় নাই। ইহার পরই কুতুবউদ্দীন | সুবাদার হইয়া বাঙ্গালায় আইসেন। তিনি সম্রাটের গুপ্ত আদেশেই হউক বা নিজে সম্রাটের প্রিয়কার্যাসাধন করিয়া আরও প্রিয়পাত্র হইবার জন্যই হউক, শের-আফগানকে অযসর বুঝিয়া হত্যা করিবার জন্ত ৪০ জন দস্থাকে নিযুক্ত করিলেন। শের এই ঘটন। জানিতে পারিয়া সতর্ক হইয়া সৰ্ব্বদা গৃহদ্বার রুদ্ধ রাখিতেন । একদিন রাত্রিতে দ্বারবানের অসতর্কতায় তাহারা গৃহ প্রবেশ করে এবং শের-আফগানের শয়নগৃহে প্রবেশ করির, নিদ্রিতাবস্থায় তাহাকে বধ করিতে উদ্যত হর। দলের মধ্যে একজন বৃদ্ধ বলিল, “নিদ্রিতকে বধ করিবার জন্তু ৪০টা আঘাত একবারে কি প্রয়োজন ? মামুষোচিত ব্যবহার কর, একজনেই কাজ নিকাশ কর।” এই কথোপকথনে শের জাগিয়া উঠিলেন এবং নিমেষ মধ্যে স্বীয় অসি নিষ্কাশিত করিয়া বলিলেন, “বীরের কথাই এই” এই বলিয়া গৃহকোণে দাড়াইয়া দমুদিগের আক্রমণের প্রতিরোধ করিতে লাগিলেন । ১৯২• জনে আহত হইয়া পলাইল। ২•৷২১ জন মারা গেল। যে বৃদ্ধের কথায় তিনি জাগ্রত হইয়াছিলেন, যে বৃদ্ধ পলাইল না । শের-আফগানও তাহাকে পুরস্কার দিয়া, তাহাদের নিযোক্তার পরিচয় লইলেন এবং তাঁহাকে ছাড়িয়া দিয়া বলিলেন, "মাও এই সংবাদ চতুর্গিকে প্রচার কন্ধিয় দাওগে । এই সময়ে, তিনি মুবাদারের রাজধানী প্তাজমহলে ছিলেন এবং এই ঘটনার পরই বৰ্দ্ধমানে চলিয়া ৰাসেন । তাছার পর কুতুবউদ্দীন অধীনস্থ কর্মচারীদের Х ዔዔ [ ૭બ્દ T মুরজাহান কাৰ্য্যাৰলীয় শুখাৰধারণের ছলে ভাড়ানগরের বন্ধোৰন্ত করি । বর্তমানে উপস্থিত হন । শের-জাফগান প্রত্যুদগমন করেন। কুত্ত্বউদ্দীনের হস্তীপকের দোষে শের-আফগান উদেপ্ত বুঝিতে পারিয়া কুতুবউদ্দীনকে আক্রমণ ও বিনাশ করেন । কুত্বের অমুচরবর্গ গুলি করিয়া মারে। ছয়টা গুলি ও অসংখ্য তীয় সহ করিয়াও শের অখ হইতে নামির মক্কাভিমুখে দাড়াইয়া মক্কার উদেশে একমুঠ ধূলি স্বীয় মস্তকে দিয়া ধার্গিকের মল্লশের স্থায় শেযশয্যায় শয়ন করিলেন। (১) শের-আফগানের মৃত্যুর পর মেহের-উল্লিস উপযুক্ত গ্রহী বেষ্টিতা হইয়া দিল্লীতে প্রেরিত হইলেন। সেখানে পৌছিলে তিনিই কুত্বউদ্দীনের মৃত্যুর নিমিত্ত বন্দিনীভাবে থাকিতে আদিষ্ট হইলেন। অকৃবরমহিষী রুকিয় বেগমের সহচরীগণের মধ্যে তিনি নিযুক্ত থাকিলেন (২) । কেহ কেহ বলেন মেহের-উগ্লিস জাহাগীরের গর্ভধারিণী মরিয়ম-জমানীর নিকট আশ্রয়প্রাপ্ত হন (৩) । যে মেহের-উগ্লিসা একদিন কটাক্ষে কুমার সেলিমকে এমন মোহিত করিয়াছিলেন যে, তাহারই ফলে আজ র্তাহার বৈধব্য এবং ভারতের অধীশ্বরীত্ব এতটা নিকটবর্তী হইল, সেই মেহেরউন্নিসা প্রাসাদে আসিয়া এইরূপে তুষ্ট্ৰীকৃত হওয়ায়, বড়ই মৰ্ম্মপীড়া পাইলেন। জাষ্ঠীর কেন এমন করিলেন, তাহার স্পষ্ট ইতিহাস পাওয়া যায় না । মুসলমান ঐতিহাসিকেরা কেহ কেহ বলেন, প্রিয়পাত্র কুতুবউদ্দীনের মৃত্যুর জন্তু তিনি অতিশয় শোকার্ত হইয়াছিলেন । শের-আফগানের ঔরসে মেহের-উগ্লিসার গর্ভে একটা কল্প হইয়াছিল, উহার আদরের নাম লড়িলী ( লাল্লী ) বেগম, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে মাতৃনামাকুসারে তাহারও মেহের-উল্লিস। নাম রাখা হইয়াছিল । মাতার সহিত এই বালিকাও দিল্লীতে মাসিয়ছিল । শের-আফগানের মৃত্যু সংবাদ দিল্লীতে পৌঁছিলে জাহাগীর আনন্দ প্রকাশ করিয়া বলেন, “এই কালামুখ মল্লাধম নরকে চিরকাল পচিবে ।’ (৪) মেহের-উল্লিস সুলতান ফ্লকিয়া বেগমের মহলে রছিলেন। বেগমসাহেব তাস্থায় পরিচর্য্যার জন্ত কঞকজন ক্রীতদাসীও নিযুক্ত করির দিলেন। প্রাসাদে আদিবার পর সম্রাটু জাৰ্ছগীর মেহের-উল্লিসায় কোম সংবাদ লইলেন না। র্যাহার জন্য (*) Dow's Hindostan, Vol. IILp. 26-82. (*) Ain-i-Akbari (Blochmann. p. 509, and Wakiat-i-Juhangiri (Elliot Vol. VI. p. 898.) (e) İkbal-nnma-i-Jahangiri (Elllot VI. p. 404.) (a) Ain-i-Akbari (Blochmann p. 524.)