পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোম l স্বৰ্গ, জল প্রভৃতি সচশ্ৰ সহস্র প্রার্থনীয় জিনিষ আহরণ করিয়া থাকেন ( ৯৭৮৪ ) । তিনি বিশ্বজিৎ ( ৮।৬৮১ ) । তিনি জ্ঞানী ও ঋষী, ( ৮৬৮১ ) মুক্রতু, সুদক্ষ, বিশ্ববেদ, বৃব ও স্থায়ী ( ১৯১২ ) সোম দেবতাদিগের মধ্যে ব্ৰহ্মা, কবিদিগের মধ্যে পদবী, বি প্রদিগের মধ্যে ঋষি, মৃগদিগের মধ্যে মহিষ, গৃ",দিগের মধ্যে হোন, ও বলের স্বস্থিতি স্বরূপ ( ৯৯৬৬ )। শত্রুর হাত হইতে তিনি অজের পরিত্রাতা ( ১৯১২১ )। ইহার যদি এমন ইচ্ছা হয় যে ইহার উপাসকগণ বাচিয়া থাকিবে, তবে তাহাদিগের মৃত্যু হয় না (১৯১৬ ) ৮৪৮৭ কে দেখিতে পাই স্বৰ্য্য যেমন দিবস বৃদ্ধি করিয়া থাকেন, তেমন উপাসকদিগের জীবন বৃদ্ধির জন্ত ইহার নিকট প্রার্থনা করা হইয়াছে। ইগর মত দেবতার বন্ধু জন কখনও কষ্টভোগ করেন না (১৯১৮) এরূপ দেবতার সঙ্গে ঘনিষ্টভ ও বন্ধুত বিশেষ আগ্রন্থের সঙ্গে ইচ্ছা করা হয় (৯t৬৬৷১৮ ) । ১৯৩•৫ ঋকে উক্ত হইয়াছে যে, মামুব যেমন যুবতী স্ত্রীলোকের সহবাসে আনন্দ লাভ করির থাকে, তিনি তেমন জলের সাহচর্য্যে আনন্দিত ও উৎফুল্ল হইয়। থাকেন । अश्रु cणशङाँग्न नCछ cमt८भद्र मtछ्रु६ ।। ১৯৩ . ঋকে দেখা যায় অগ্নির সঙ্গে একত্র লোমের পুঞ্জ করা হয় । এষ্ট স্তোত্রের পঞ্চম শ্লোকে উক্ত হইয়াছে যে এই তুষ্ট দেবতা একত্র হঈয়া আকাশে জ্যোতিষ্ক'নচয় স্থাপন করিয়াছেন ২৪০। ১ ঋকে পূবার সঙ্গে ও সোমের সাহচৰ্য্য দেখিতে পাওয়া যার। এখানে ইছাদের দুই জনেরই নানা প্রকার শক্তি ও কার্য্যের কথা বলা হইয়াছে। ১ম শ্লোকে ইহারা উভয়ে ঋদ্ধি, স্বর্গ ও পৃথিবীর জনক, সমগ্ৰ বিশ্বের রক্ষক, এবং অমৃতের নাভি বলিয়া উক্ত হইয়াছেন। ইহাদের একজন আকাশে এবং অপর জন পৃথিবীতে ও অন্তরীক্ষে বাস করিতেছেন, একজন সমগ্র বিশ্বভুবন পৃষ্টি করিয়াছেন আর অপর জন সকল দেখিয়া যাইতেছেন ৬৭২ এবং ৭৷১০৪ স্থক্তে লোমের সঙ্গে ইন্দ্রের সাহচর্য্যে বর্ণিত হইয়াছে। এই সকল স্তোত্রের প্রথমটিতে দেখা যায়, ইহার উভরেই তমোহুস্তা, নিন্দুকনাশন, স্বৰ্য্য ও আলোকের বিধাতা, অবলম্বন সাহচর্য্যে আকাশের ধারণ কর্তা এবং মাতা, পৃথিবীর বিস্তার কর্তা বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছেন। ৭।১০৪ স্থজে রাক্ষস ঘাতুধান এবং অদ্যান্ত শত্রু দমনের গুপ্ত ইহুদের উভয়েরই নিকট একত্রে প্রার্থনা করা इहेम्नोtछ् । সোমের সঙ্গে আবার রূদ্রেরও মিলন দেখিতে পাওয়া যায়। ৬৭৮ সুক্তে একত্রে ই হাদিগের মহিমা কীৰ্ত্তন করা হইয়াছে। এখানে তীক্ষায়ুধ, তীক্ষাহেতি” এই দুই দেবতার নিকট দ্বিপদ >b-s ) সোম ও চতুষ্পদ জন্তুর কল্যাণ সাধন করিবার জষ্ঠ রোগনাশন ভেষজসমূহ প্রদান করিবার জন্ত এবং পাপ তাপ হইতে পরিত্রাণ করিবার জন্ত প্রার্থনা করা হষ্টয়াছে । বৈদিকযুগের শেষ হইতেই সোম শব চক্র শব্দের অর্থজ্ঞাপক হইরা আলিতেছে। এমন কি ঋক্ বেদেরও স্থানে স্থানে সোম শব্দের এইরূপ প্রয়োগ দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়া মনে হয় । ইহার ১০,৮৫২এ সোম শব্দ যেন এই দুই অর্থেই ব্যবহৃত হইয়াছে। যথা—সোমেয় দ্বারাই আদিত্যগণ বলবান্‌ ; সোমের জষ্ঠই পৃথিবী মহী ; এবং সোম নক্ষত্রদিগের মধ্যস্থলে স্থাপিত হইয়াছে। লতাটিকে পেষণ করিয়া রস পান করিবার সময়, পাতা সোমপান করিলেন বলিয়। মনে করেন। যাহাকে ব্ৰহ্মাগণ সোম ( চক্র ) বলিয়া জানেন, cব হই তাহ পান করে না। যাহার তোমাকে আশ্রয় দান করে, তাহাদিগের দ্বারা গুপ্ত এবং তোমার রক্ষকদিগের দ্বারা রক্ষিত হইয়া, হে সোম, তুমি পেষণ প্রস্তরের ধ্বনি শুনিতে থাক ; কিন্তু কোন পাথিব প্রাণীই তোমার স্বাদ গ্রহণ করিতে পারে না । হে দেব ! দেবতাগণ তোমাকে পান করিলে তুমি আবার বৃদ্ধি প্রাপ্ত হও । বায়ু সোমের রক্ষক ; মাস বৎসরেরই অংশ • ঋক্ বেদের এই অংশ কেহ কেছ প্রক্ষিপ্ত বলিয়া মনে করেন । অথৰ্ব্ব বেদে নিম লিখিত শ্লোকান্ধটি দেখিতে পাওয়া য়ায় ( ১১, ৬, ৭ )—বে সোম দেবতাকে লোকে চন্দ্র বলিয়া থাকে, তিনি যেন আমাকে মুক্তি দান করেন। এতদ্ব্যতীত শতপথ ৰাহ্মণের ১৬ ৪৷৫ ; ১১। ৩২ ; ১১।১৩।৪ এবং ১১।১।৪।৪ এও এই কথা গুলি দেখিতে পাওয়া বার। এই যে সোমরাজা যিনি চন্দ্র, তিনিই দেবতাদিগের অল্প। ১৬,৩২৪ এও এইরূপ লিখিত আছে,—সুৰ্য্যে অগ্নির প্রকৃতি ও চক্সে সোমের প্রকৃতি বিদ্যমান। এবং ১২।১। ১২ এ সোমকেই চন্দ্র বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে । ৫।৩।৩।১২ ও ৯৪৷৩১৬ তে চন্দ্রকে ব্রাহ্মণদিগের রাজা বলা হইয়াছে। বিষ্ণু পুরাণে সোমের দ্বিত্ব এই ভাবে স্বাচত হুইয়াছে “ব্ৰহ্ম সোমকে গ্রহনক্ষত্রের ব্রাহ্মণ ও বিরুধদিগের এবং যজ্ঞ তপস্তার রাজা নিযুক্ত করিয়াছেন।” ( ১ ) “সোমেনাদিত্য বলিনঃ সোমেন পৃথিবী মহী । জখো নক্ষত্রণ মেধামুপন্থে সোম আছিe: ॥ সোমং মস্তুতে পপিৰাণ যৎ সংপিংধস্ত্যোবধিং। সোমং যং ব্রহ্মণো বিদুৰ্ণ তস্তাশ্নতি কশ্চন । আচ্ছদ্বিধা নৈগুপিতো বাহ eৈঃ সোম রক্ষিতঃ এাৰণামিচ্ছপ্তিষ্ঠfগ ন তে অশ্বাতি পাধিব । বস্তু। দেব প্রাপধত্তি তত আপ্যায়সে পুনঃ । বায়ুঃ সেমিস্ত রক্ষিত সমানং মাস আকৃতিঃ ।” ( ঋক সংহিতা ১৯৮৫২-৫ )