পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ess ] • নন্দরীর্ম - নন্দরাম কাহারও সন্দেহ হয় না। কাশীরাম নিজ গ্রন্থে যে সকল ভারতের কথা অমৃত সমান" "দ্রোণ পৰ্ব্ব স্থধারগ জপূৰ্ব্ব আখ্যান” ইত্যাদি বহুল পরিমাণে ব্যবহার করিয়া গিয়াছেন, নগারামের পুথিতেও অধিকাংশ স্থলে সেই সকল ভণিতাংশ অবিকল দেখিতে পাওরা যায়। এতদ্ভিন্ন তাহার নিজস্কৃত ভণিতাও আছে।-- ( ১ ) শুনহ ভকত লোক হয় একমতি । নন্দরাম দাস বলে মোর প্রাধাপ্তাম গতি ॥ (২) নন্দরাম দাস বলে সেবি রাধাপতি । তোমা বিনে কৃষ্ণচন্দ্ৰ নাহি মোর গতি ॥ ইত্যাদিও যথেষ্ট আছে। এই সকল দেখিয়া অনুমান হয় যে, কাশীরাম দাসের মহাভারত সম্বন্ধে একটী যে প্রচলিত প্রবাদ অাছে, “আদি সভা বন বিরাটের কতদূর। ইহ রচি কাশীদাস গেলা স্বৰ্গপুর।” এই প্রবাদ নিতান্ত অমূলক নহে। এই মন্দরাম দাসের ভণিত ও পথি পাইয়া এখন বিশ্বাস হইতেছে যে কাশীদাসের মৃত্যু হইলে তাহার পুত্রাদিই তাহার কীৰ্ত্তিস্তম্ভের কোন কোন অংশ গাথিয়া তুলেন। এই নদরামের পুথিতেই আর একটা ভণিতা পাওয়া যায়— (১) মহাভারতের কথা শুনে পুণ্যবান । কাশীরামদাস কহে রামনারায়ণ ॥ (২) দ্ৰোণপৰ্ব্ব সুধারস অপূৰ্ব্ব কথন। পাঁচালী প্রবন্ধে কহে রামনারায়ণ ॥ এই রামনারায়ণ কে ? তাহার মীমাংসা হয় নাই, কিন্তু সমস্ত গ্রন্থখানির মধ্যে এই রামনারায়ণের ভণিতা ঐ ছুইটী ছাড়া আর একটীও নাই, সুতরাং ৰোধ হয় যে যে অধ্যায়ে রামনারায়ণের ভণিত আছে, সেই সেই- অধ্যায় রামনারায়ণ নামক কাশীরামের কোন আত্মীয়ের রচনা । নন্দরামের পরিচয় অধিক কিছু পাওয়া যায় নাই, তবে যাহা পাওয়া গিয়াছে, তাহাই যথেষ্ট বলিয়া মনে মনে করা যাইতে পারে। মুদ্রিত পুস্তকে যে যে স্থলে নন্দরামের ভণিতার পরিবর্তে কাশীরামের ভণিতা পাওয়া যায়, সেই সেই স্থলে এই রূপ বিবেচনা হয় যে উহাও কোন জয়গোপালী সংশোধনের ফল। কিন্তু সে সংশোধন শতাধিক বর্ষেরও পূৰ্ব্ব হইতে চলিয়। আসিতেছে। কাশীরামের পর তাহার পুত্র নন্দরাম ৰে মহাভারত রচনা করেন, তাহার আরও একট প্রমাণ এই যে, নিঃসঙ্কোচে পিতার লিখিত ভণিতাংশ গ্রহণ করিয়াছেন ও

পংক্তির সহিত মিলির গিয়াছে। কাশীরামের জন্তান্ত জাষ্ট্ৰীয়ও এইরূপ মহাভারত রচনা করিয়া গিয়াছেন বটে, কিন্তু এরূপ মিল দেখা যায় না। নদরামের কবিত্বের স্বতন্ত্র পরিচয় দিবার প্রয়োজন নাই। সম্প্রতি বিশ্বকোষ-কাৰ্য্যালয়ে কাশীরাম দাসের মহাভারতের অতি পুরাতন একখানি পুথি সংগৃহীত হইয়াছে, তাহাতে কাশীরামের পরিচয় আছে । তাহ হইতে জানা যায় যে কাশীরামের প্রপিতামহের নাম প্রিয়াকর বা প্রিয়ঙ্কর নহে। শ্ৰীকৃষ্ণদাস । “শ্ৰীকৃষ্ণদাসের পুত্র সুধাকর নাম।” বিশ্বকোষের “কাশীরাম দেব” শব্দে “তমুজ কমলাকান্ত কৃষ্ণদাসপিতা" এই পাঠের স্থলে উহাতে “তস্ত তাত কমলাকান্ত কৃষ্ণদাসপিতা" এইরূপ পাঠ আছে। কাশীরামের অমুজ গদাধরদাসের জগৎ-মঙ্গল নামক গ্রন্থে তাহাদের এইরূপ दश्नं-श्रृंद्रिक्लग्न श्रांश् “ভাগীরথীতীরে বটে ইঞ্জায়নী নাম। তার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত গণি সিঙ্গি গ্রাম ॥ অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের বামপদতলে । নিবাস আমার সেই চরণ-কমলে ॥ তাহাতে শাণ্ডিল্য গোত্র দেব যে দৈত্যারি। দামোদরপুত্র তার সদা ভজে হরি ॥ ছুবরাজ সুবরাজ তাহার নন্দন। খুবরাজপুত্র হইল মিলএ যতন ॥ তাহার নন্দন হয় নাম ধনঞ্জয় । তাহাতে জন্মিল গুন এ তিন তনয় ॥ রঘুপতি ধনপতি দেব নরপতি । রঘুপতির পঞ্চপুত্র প্রতিষ্ঠিত মতি ॥ প্রসঙ্গ রঘু দেবেশ্বর কেশব সুন্দর। চতুর্থে স্ত্ররঘুদেব পঞ্চমে শ্ৰীধর ॥ প্রিয়সঙ্গ হইতে এ পঞ্চ উদ্ভব । অম্বু সুধাকর মধু রাম যে রাঘব ॥ সুধাকরনন্দন যে এ তিন প্রকার। ভূমীন্দ্র কমলাকান্ত এ তিন কুমার। প্রথমে শ্ৰীকৃষ্ণদাস শ্ৰীকৃষ্ণকিঙ্কর। রচিলা কৃষ্ণের গুণ অতি মনোহর ॥ দ্বিতীয়ে শ্ৰীকাশীদাস ভক্ত ভগবানে । রচিলা পাঁচালীর ছন্দ ভারতপুরাণে ॥ জগতমঙ্গলকথা করিলা প্রকাশ । छ्जैौश्च निं ौन *ङ्गांशङ्ग-नांश ॥” জগৎমঙ্গলের পুথিতে বেরূপ আছে, ঠিক তাহাই উদ্ভূত